ঠিক একদিন আগেই এই ইস্যুতে বড় কথা বলেছিলেন হুমাযুন কবীর। ডেবরার বিধায়কের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেছিলেন, “দরকারে আর এক হুমায়ুনকে নিয়ে এসে কান্দিতে দাঁড় করাব। দেখব কত ধানে কত চাল হয়। অপূর্ব সরকার তোকেও দেখাব।” তা নিয়েও দানা বাঁধে বিতর্ক।


মাঠে মারা গেল ভরতপুরের হুমায়ুনের সংখ্যালঘু কার্ড? বেঁকে বসলেন ডেবরার হুমায়ুন
রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা


এসেছে শোকজের পর শোকজ নোটিস। কিন্তু ভরতপুরের হুমায়ুন যে আছেন হুমায়ুনেই তা তিনি বারবারই নিজের বক্তব্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন। দল বের করে দিলেও যে তিনি অকপটই থাকবেন তাও রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন। যে সংখ্যালঘু তোষণ নিয়ে বারবার শাসকদলকে নিশানা করে থাকে বিরোধীরা সেই সংখ্যালঘুদের ‘প্রাপ্তি’ নিয়েও সুর চড়িয়েছেন হুমায়ুন কবীর। রীতিমতো ক্ষোভের সুরে বলেছেন, “বকলমে ১ হাজার টাকার ভাতা, ৩ হাজার টাকার ইমাম ভাতা, দেড় হাজার টাকার মোয়াজ্জেম ভাতা দিয়ে সমস্ত মুসলিমদের মাথা কিনে নিয়েছে! আর মুসলিমদের শুধু বলা হবে দুধেল গাই। কী দিয়েছে মুসলিমদের?” আর এরপরই তাৎপর্যপূর্ণভাবে এক্কেবারে বেলাইনে গিয়ে বলে দিলেন, “রাজনীতিতে সব সম্ভব। অধীর চৌধুরীর সঙ্গে দরকার হলে আসন সমঝোতা করব।” তাহলে কী ছাব্বিশের ভোটে এবার নতুন সমীকরণ? ভরতপুরের বিধায়কের এই মন্তব্যের পরই চাপানউতোর এক্কেবারে পুরোদমে। 


বিতর্ক যখন জোর পাক খাচ্ছে তখন সংখ্যালঘু ভোট এককাট্টা নিয়েও বড় ইঙ্গিত দিয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক। সাফ বলেছিলেন, প্রয়োজনে কান্দিতে ডেবরার বিধায়ককে দাঁড় করাব। এভাবেই জেলা সভাপতি তথা কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। ডেবরার বিধায়কের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেছিলেন, “দরকারে আর এক হুমায়ুনকে নিয়ে এসে কান্দিতে দাঁড় করাব। দেখব কত ধানে কত চাল হয়। অপূর্ব সরকার তোকেও দেখাব।” হুমায়ুনের দাবি, ডেবরার বিধায়ককে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে যে প্রায়শই কথা হয় সে কথাও অকপটে জানান। বলেন, “তাঁর সঙ্গেও প্রায়ই কথা হয় আমার। বিধানসভার লবিতে কথা হয়। ওর বাড়িতেও কথা হয়। ফোনেও কথা হয়। তাঁকেও পদে পদে অসম্মান করা হচ্ছে। আমাদের দুই হুমায়ুন কবীরকে যদি দল মনে করে অপ্রাসঙ্গিক করে রাখব তাহলে সেটা করতে পারে। আমিও কী করতে পারি আমি বলেছি।” 



 'আর ৫-৭ দিন সময় দিন...', শুভেন্দু কাকে-কাকে চাকরি দিয়েছেন, তার তালিকা দেবেন কল্যাণ
এ নিয়ে জল্পনা যখন পুরোদম চলেছে তখন বড় কথা বলে দিলেন ডেবারার বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। কান্দি নয়, ডেবরা থেকেই লড়তে চান ভরতপুরের হুমায়ুনের দাবি উড়িয়ে জানিয়ে দিলেন ডেবরার হুমায়ুন। কিন্তু কেন ডেবরার বিধায়ককে এত পছন্দ ভরতপুরের বিধায়কের? তিনি সংখ্যালঘু প্রতিনিধি বলে নাকি দলের মধ্যো ‘কোণঠাসা’ বলে? 

প্রশ্ন যখন ঘুরছে তখন ডেবরার বিধায়ক বলছেন, “মুর্শিদাবাদ জেলায় যেহেতু এসপি হিসাবে চাকরি করেছি তাই ভরতপুরের বিধায়কের সঙ্গে আমার চেনা-জানা রয়েছে। কথাবার্তাও হয় বিধানসভা দেখা হলে। একজন বিধায়কের সঙ্গে আর একজন বিধায়কের যেভাবে কথাবার্তা হয় সেভাবে আমারও কথাবার্তা হয়। ওনার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ নেই। এরপরই জোরাল দাবি করে বলেন, ভোটের নির্বাচনে দাঁড়ানো নিয়ে তাঁর সঙ্গে আমার কোনও কথা হয়নি। হঠাৎ করে যদি অন্য কোথাও দাঁড়ানোর জন্য যদি সাজেশন দেন সেটা একান্ত তাঁর ব্যক্তিহত মতামত। এটা আমার মতামত নয়। আমার দল আমার পার্টির উপর আমার ভরসা আছে। সম্ভবত আমি ডেবরাতেই লড়ব এবং জিতব।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours