পরে জানা যায়, ওই ছাত্রী প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কলেজের বাইরে একটি জায়গায় তাঁর জন্য আলাদা করে পরীক্ষা নেওয়ার বন্দোবস্ত করেছিল সাউথ ক্যালকাটা আইন কলেজের কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এটাই শেষ। জুনের সন্ধ্যার ওই পৈশাচিক ঘটনার পর আর সেই কলেজে পা রাখতে চান না নির্যাতিতা। একই ভাবনা পরিবারেরও।

 ল'কলেজে আর পা রাখতে চান না নির্যাতিতা! দ্বারস্থ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে
প্রতীকী ছবি


কেটে গিয়েছে দু’মাসের অধিক সময়। কিন্তু কলেজ চত্বর মেয়েকে আবারও ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেই পৈশাচিক সন্ধ্যায়, দাবি করলেন কসবা আইন কলেজ (Kasba Law College) ধর্ষণ-কাণ্ডের নির্যাতিতার বাবা। তাই বাড়তি মানসিক চাপ থেকে তাঁকে দূরে রাখতে কলেজ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবার।


 ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরি কি সঙ্কটে? কী বলছে দেশের বড় বড় আইটি কোম্পানিগুলো?
পরপর ২ দিন কমল সোনার দাম, দুর্গাপুজোর আগেই গহনা কিনে ফেলুন ঝটপট
গত ২৫-এ জুনের কথা। প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা কলেজে গিয়ে পরীক্ষার ফর্ম করছিলেন। সেদিন কলেজে গিয়েছিলেন ওই নির্যাতিতাও। কিন্তু সন্ধ্যা হলেও বাড়ি ফেরেননি তিনি। পরবর্তীতেই নিজেই থানায় গিয়েছে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন ওই নির্যাতিতা ছাত্রী। কলেজের এক অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে ওঠে অভিযোগ। যা নিয়ে দিন কয়েকের মধ্যে তোলপাড় হয় গোটা শহর তথা বাংলা।

পরে জানা যায়, ওই ছাত্রী প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কলেজের বাইরে একটি জায়গায় তাঁর জন্য আলাদা করে পরীক্ষা নেওয়ার বন্দোবস্ত করেছিল সাউথ ক্যালকাটা আইন কলেজের কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এটাই শেষ। জুনের সন্ধ্যার ওই পৈশাচিক ঘটনার পর আর সেই কলেজে পা রাখতে চান না নির্যাতিতা। একই ভাবনা পরিবারেরও।

শুক্রবার টিভি৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘মেয়ে এমনিই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তারপর আবার ওই জায়গাটা নিজের চোখের সামনে দেখলে আরও বেশি বিধ্বস্ত হয়ে পড়বে। তাই আমি চাই না, ওই একই জায়গায় ওঁ যাক। সেই কারণেই কলেজ পরিবর্তন করাব।’ কিন্তু একাডেমিক বর্ষের মাঝেই কলেজ পরিবর্তন কীভাবে সম্ভব হবে, এই প্রশ্ন করাতেই নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘প্রথম বছরের পরীক্ষা দিয়েছে। আর এই কলেজ পরিবর্তনের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ, তাদের আইন বিভাগ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেও আবেদন জানিয়েছি। এবার ওরাই সিদ্ধান্ত নেবে। ‘

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours