পাশাপাশি, কেন ওই অভিযুক্ত মহিলা পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-দমন আইনের আওতায় তদন্ত হবে না? কেনই বা FIR করা হবে না? সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। তাঁর আরও পর্যবেক্ষণ, রাজ্য অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে না বলে দাবি করছে ঠিকই। কিন্তু তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করছে না।
'রাজ্য বাঁচাচ্ছে না, আবার তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপও নিচ্ছে না...', পুলিশ অফিসার ঘুষ-কাণ্ডে রাজ্যকে তোপ হাইকোর্টের
কলকাতা হাইকোর্ট
হাইকোর্টে রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা। তারকেশ্বর থানার মহিলা অফিসারের ঘুষ-কাণ্ডের মামলায় রাজ্য়ের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কেন ‘প্রিভেনশন অব করাপশান’ বা দুর্নীতি দমন আইনের আওতায় তদন্ত হবে না? তা জানতে চাইল ডিভিশন বেঞ্চ।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চেই চলছিল এই ঘুষ-মামলার শুনানি। সেখানেই রাজ্যের দিকে একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। রাজ্যকে কার্যত ভর্ৎসনার মুখে ফেললেন তিনি। শো-কজ করা হলেও, সেই নথিতে ঘুষের কথা কেন উল্লেখ নেই, সেই প্রশ্নই তুলেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
পাল্টা রাজ্যের সওয়ালকারী বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে নিলম্বিত বা সাসপেন্ড করা হয়েছে। গত ১৭ তারিখ থেকেই বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এমনকি, কেন তাঁকে বরখাস্ত করা হবে না, সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। যার জবাবও অভিযুক্তকেই দিতে হবে। তার বিরুদ্ধে নেগলিজেন্স বা গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।
তবে রাজ্য়ের এই ‘নেগলিজেন্স’ তত্ত্বকে একেবারে খারিজ করেছে আদালত। বিচারপতি বলেন, ‘এটা কোনও নেগলিজেন্স বা গাফিলতি নয়। এটা ঘুষ। একজন পুলিশ অফিসার গোটা নাগরিক সমাজের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। তারপরেও গোটা বিষয়টাকে হালকা ছলে দেখানো হচ্ছে। কী করে শুধুমাত্র সেন্সর করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হল?’ এরপর সোমবার রাজ্যকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিরা জানিয়েছেন, সেই ভিত্তিতে লিখিত নির্দেশ দেবে হাইকোর্ট।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours