দিল্লি থেকে ফিরে CBI তদন্ত নিয়ে বিস্ফোরক তিলোত্তমার বাবা-মা, অ্যাওয়ার্ডও ফিরিয়েছেন
সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিলোত্তমার বাবা-মা। দিল্লিতে সিবিআই ডিরেক্টর প্রবীণ সুদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সেই ক্ষোভ আরও বেড়েছে তাঁদের।
সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিলোত্তমার বাবা-মা। দিল্লিতে সিবিআই ডিরেক্টর প্রবীণ সুদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সেই ক্ষোভ আরও বেড়েছে তাঁদের। এদিন কলকাতা ফিরে তিলোত্তমার বাবা বলেন, “সিবিআই ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা হয়েছে। কিন্তু, সত্যি কথা বলতে, দেশের ১৪০ কোটি মানুষ যাদের দিকে তাকিয়ে থাকে, যাদের ভরসায় দিন যাপন করে, তারা যে এত বোগাস হতে পারে, সেই অভিজ্ঞতা আজ হল। সিবিআই ডিরেক্টর নিজে বলছেন, এই মামলা আমরা ছেড়ে দেব। আমি বললাম, কোর্টে গিয়ে একথা বলুন আপনারা। আমরা তো ইচ্ছে করে আপনাদের দিইনি। আমরা আদালতের নজরদারিতে স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থা চেয়েছিলাম। আদালত সিবিআই দিয়েছে। এখন দেখি, আদালত ওদের ছাড়িয়ে দেয় নাকি ওরাই মামলা ছেড়ে দেয়।”
তাঁরা সিবিআইয়ের কাছে একাধিক প্রশ্নের উত্তর চেয়েছিলেন। কারা এই খুন ও ধর্ষণে যুক্ত ছিলেন? কোথায় এই ঘটনা ঘটেছিল? ধর্ষণ ও খুনের উদ্দেশ্য কি ছিল? তিলোত্তমার বাবা বলেন, “আমাদের কোনও প্রশ্নের জবাব নেই সিবিআইয়ের কাছে।” তাঁরা সিবিআই ডিরেক্টরকে একটি প্ল্যাকার্ড দিয়েছিলেন। যার একপাশে এইসব প্রশ্ন লেখা ছিল। অন্যপাশে লেখা ছিল, মেরুদণ্ড বাড়ান কিংবা পদত্যাগ করুন। তিলোত্তমার মা বলেন, “সিবিআই ডিরেক্টর প্ল্যাকার্ডটা নিয়েছিলেন। তারপর ফেরত দেন। বলেন, আমাদের মেরুদণ্ড রয়েছে। আমরা বলি, আপনাদের মেরুদণ্ড নেই।”
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা তিলোত্তমার মাকে নারীশক্তি অ্যাওয়ার্ড দিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই অ্যাওয়ার্ড ফিরে দিয়েছেন তিনি। তিলোত্তমার মা বলেন, “দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা নারীশক্তি অ্যাওয়ার্ড দিয়েছিলেন। আমি ওটা ফিরিয়ে দিয়েছি। বলেছি, আমার মেয়ে ন্যায় পেলে আমি ওটা নেব।” সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের আইনজীবী করুণা নন্দীর সঙ্গেও দেখা হয়েছে বলে জানালেন তিলোত্তমার বাবা-মা।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours