১৯৪৫ সালে যখন ক্ষীরগঙ্গার জলপ্রবাহ কম ছিল, তখন মন্দিরের শিখর দেখা গিয়েছিল। এরপর মাটি খনন করা হয়। কয়েক ফুট মাটি খনন করার পর প্রাচীন শিব মন্দিরের খোঁজ মেলে, যা কেদারনাথের মন্দিরের আদলে তৈরি।
কেদারের পথে পাণ্ডবরা তৈরি করেছিলেন এই মন্দির, ৮০ বছর আগে উদয়, আবার 'হারিয়ে গেল' উত্তরাখণ্ডের রহস্যজনক মন্দির!
আবার হারিয়ে গেল কল্প কেদার?
উত্তরকাশীতে বিপর্যয়। হড়পা বান, ধসে ধুয়েমুছে গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের ধরালী গ্রাম। খীরগঙ্গা নদীর স্রোতে ভেসে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৫ জনের। নিখোঁজ ১০০-রও বেশি। চলছে উদ্ধারকাজ। সেনাবাহিনী, আইটিবিপি, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ হাত মিলিয়ে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে। এই ধ্বংসস্তূপের মাঝে হারিয়ে গিয়েছে একটি মন্দিরও, যা ৮০ বছর আগে হঠাৎ উধাও হয়ে গিয়েছিল।
হর্ষিলের ধরালী গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, এটি একটি বহু পুরনো মন্দির, যার নাম কল্প কেদার। এই মন্দিরের স্থাপত্য কেদারনাথের মতোই। তাই নামকরণ হয়েছিল কল্প কেদার। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, বছরের পর বছর কেদারনাথ মন্দিরটি বরফের নীচে চাপা পড়েছিল, তেমনই কল্প কেদারও মাটির নীচে চাপা পড়ে গিয়েছিল। কেউ কেউ আবার মহাভারতের সঙ্গেও এই মন্দিরের যোগ রয়েছে বলে দাবি করেন। বলা হয়, পাণ্ডবরা কেদারনাথে আসার সময় এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কেউ কেউ বলেন যে এই মন্দিরটি আদি শঙ্করাচার্য নির্মাণ করেছিলেন।
অভিনয় করেছিলেন মধুবালাও, শুধুমাত্র ট্যাক্স দেবেন না বলেই এই সিনেমা বানিয়েছিলেন কিশোর কুমার
ইতিহাস অনুযায়ী, উনবিংশ শতাব্দী থেকে এই মন্দিরে পুজো শুরু হয়েছিল। ১৮১৬ সালে গঙ্গা ভাগীরথীর উৎপত্তিস্থল অনুসন্ধানে বেরিয়েছিলেন একজন ইংরেজ পর্যটক জেমস উইলিয়াম ফ্রেজার। তাঁর লেখনীতেই ধরালি গ্রামে একটি মন্দিরে বিশ্রাম নেওয়ার কথা উল্লেখ ছিল। পরে ১৮৬৯ সালে গোমুখের পথে ইংরেজ ফোটোগ্রাফার-পর্যটক স্যামুয়েল ব্রাউন ধরালির তিনটি প্রাচীন মন্দিরের ছবি তুলেছিলেন, যা প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে সুরক্ষিত।
১৯৪৫ সালে যখন ক্ষীরগঙ্গার জলপ্রবাহ কম ছিল, তখন মন্দিরের শিখর দেখা গিয়েছিল। এরপর মাটি খনন করা হয়। কয়েক ফুট মাটি খনন করার পর প্রাচীন শিব মন্দিরের খোঁজ মেলে, যা কেদারনাথের মন্দিরের আদলে তৈরি।
খননের পরও মন্দিরের কিছুটা অংশ মাটির নীচেই ছিল। ভক্তরা ওভাবেই পুজো করতেন। ক্ষীরগঙ্গার জল বাড়লে, মন্দিরের গর্ভগৃহ জলে ডুবে যেত। পরে মন্দির যাওয়ার রাস্তা ফের ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে যায়। এবার হড়পা বানে মন্দিরের যে অংশটুকু দৃশ্যমান ছিল, তাও চাপা পড়ে গিয়েছে, সম্পূর্ণ ধুয়েমুছে গিয়েছে।
এই মন্দিরের উৎপত্তি নিয়ে নানা কাহিনি রয়েছে। মন্দিরের গর্ভগৃহটি প্রবেশপথের কয়েক মিটার নীচে অবস্থিত। মন্দিরের বাইরে পাথরের উপর খোদাই করা। গর্ভগৃহের শিবলিঙ্গটি কেদারনাথ মন্দিরের মতোই নন্দীর পিঠের মতো আকৃতির। মন্দির প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে বিভিন্ন দাবি রয়েছে।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours