সোনারপুরের তেমাথায় এদিন পথচলতি সবাইকে রাখি পরাচ্ছিলেন সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র। পশ্চিমবঙ্গ যুবকল্যাণ দফতর ও সোনারপুর ব্লকের উদ্যোগে আয়োজিত রাখিবন্ধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সকাল থেকেই হাসিমুখে তিনি পথচলতি সকলকে রাখি পরাচ্ছিলেন।
রাস্তায় রাখি পরাচ্ছিলেন তৃণমূলের লাভলি, হঠাৎ সিপিএমের সুজনের আগমন, তারপর...
সুজন চক্রবর্তী ও লাভলি মৈত্র
যুযুধান দুই দল। দুই দলের নেতা-নেত্রীরা প্রতিনিয়ত পরস্পরকে তোপ দাগেন। রাখিবন্ধনের উৎসবে সেই দুই দলের নেতা-নেত্রী যদি মুখোমুখি হন। তখন কী হতে পারে? সেই ছবিই শনিবার ধরা পড়ল সোনারপুরে। তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র যখন সবাইকে রাখি পরাচ্ছিলেন, হঠাৎ আগমন ঘটে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর। তারপর…
সোনারপুরের তেমাথায় এদিন পথচলতি সবাইকে রাখি পরাচ্ছিলেন সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র। পশ্চিমবঙ্গ যুবকল্যাণ দফতর ও সোনারপুর ব্লকের উদ্যোগে আয়োজিত রাখিবন্ধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সকাল থেকেই হাসিমুখে তিনি পথচলতি সকলকে রাখি পরাচ্ছিলেন। সেইসময় গাড়িতে ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
সুজন চক্রবর্তীকে রাখি পরাচ্ছেন লাভলি মৈত্র
দেখা হওয়া মাত্রই লাভলি মৈত্র এগিয়ে এসে তাঁকে রাখি পরানোর প্রস্তাব দেন। রাজনৈতিক মতের ফারাক বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। হাসিমুখে রাখি পরতে রাজি হন সুজন চক্রবর্তী। রাখি পরার পর মিষ্টিমুখও করেন। অনেকেই মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করেন এই দৃশ্য।
রাখি পরানোর পর হাসিমুখে দুই দলের দুই নেতা-নেত্রী
সিপিএম নেতাকে রাখি পরানোর পর লাভলি বলেন, “আগামিদিন যেন ভাল কাটে, সবার সঙ্গে সুস্থ সম্পর্ক বজায় থাকুক। আর সুজনবাবু যেন ভাল থাকেন, এই আমার প্রার্থনা।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা আমাদের সম্প্রীতির বাংলা। সুজনবাবুর কাছ থেকে আশীর্বাদ চাইলাম। যাতে আগামিদিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আরও ভাল কাজ করতে পারি।”
প্রত্যুত্তরে সুজন চক্রবর্তীও রাখিবন্ধনের মূল মন্ত্র তুলে ধরেন। বলেন, “এই দিনে ভাইয়ের মঙ্গল কামনা করে বোন রাখি পরায়। আর ভাই বোনের সুরক্ষার দায়িত্ব নেয়। রাজনীতি আমাদের পেশা, কিন্তু সম্পর্ক মানবিক।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাধারণ মানুষ এই মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে বলেন, “এটাই বাংলার সংস্কৃতি। ভিন্ন মত হলেও হৃদয়ের বন্ধন ছিন্ন হয় না।”


Post A Comment:
0 comments so far,add yours