এবার সেই চমকটা যত না চিন্তিত রেখেছে তৃণমূল শিবিরকে, তার থেকেও হয়তো বেশি চিন্তিত রেখেছে এক বিজেপি বিধায়ককে। কারণ, ছাব্বিশে তাঁর ভাগ্যই হয়তো দাঁড়াতে পারে প্রশ্নের মুখে।
খড়্গপুরের জমিতে ফসল ফলাবেন কে? দিলীপ না হিরণ?
বাঁদিকে হিরণ চট্টোপাধ্য়ায় ও ডান দিকে দিলীপ ঘোষ
এই ‘চমকটা’ গোটা বাংলার জন্য ছিল নাকি শুধু খড়্গপুরের জন্য? দিলীপ ঘোষ আগেই বলেছিলেন, একুশে জুলাই তিনি ‘চমক’দেবেন। এবার সেই চমকটা যত না চিন্তিত রেখেছে তৃণমূল শিবিরকে, তার থেকেও হয়তো বেশি চিন্তিত রেখেছে এক বিজেপি বিধায়ককে। কারণ, ছাব্বিশে তাঁর ভাগ্যই হয়তো দাঁড়াতে পারে প্রশ্নের মুখে।
কথা যখন দিলীপকে নিয়ে হচ্ছে, আর কেন্দ্র খড়্গপুর। সুতরাং, তার বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্য়ায়। সোমবার ইঙ্গিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে খড়্গপুর থেকে দাঁড়ানোর ইচ্ছা জাহির করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
'আমার সব সময় মনে হয়...', হোটেলে-সার্কিট হাউসে রাত হলেই কী করেন শতাব্দী?
'কেউ চেপে ধরে রেখেছে বিছানায়...', মধ্যরাতে সানির বেডরুমে ভয়ানক কাণ্ড
'মমতার মায়ের হাতে চা খেয়েছি...', শহিদ সভায় কেন যান না? বললেন বুদ্ধবাবুর পুলিশের হাতে গুলি খাওয়া দীপক
সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়ো দেখা গিয়েছে দিলীপ বলছেন, ‘দল ঠিক করবে কে কোথায় লড়বেন। আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে লড়তে চান কিনা। আমি বলেছি, হ্যাঁ! দল আমাকে প্রথম থেকে এখানে দাঁড় করিয়েছে। আবার দাঁড় করালে লড়ব। আর নির্বাচন লড়তেই হবে এর কি মানে রয়েছে?’
বলে রাখা ভাল, বাংলায় সাংগঠনিক জোর বাড়িয়ে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি প্রথম নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন খড়্গপুর সদর থেকেই এবং জয়লাভও করেছিলেন। বর্তমানে এই কেন্দ্রে বিজেপিরই বিধায়ক রয়েছে। কিন্তু খড়্গপুরের সঙ্গে দিলীপের একটু বেশি ‘আত্মিকতা’। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এই ‘টানের’ কথাটা হয়তো হিরণও জানেন। সেই কারণে দিলীপ যখন খড়্গপুরে একুশের ‘শহিদ স্মরণ’ সভার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তার আগেই নিজের বিধানসভা এলাকার মানুষজনের সঙ্গে সম্পর্কটা আরও একটু ‘আত্মিক’ করতে ‘হ্যালো বিধায়ক’ নামে কর্মসূচি শুরু করতে হল তাঁকে।
শুধু তা-ই নয়, দিলীপ ও হিরণ, একই দলের আদি-নব্য আর তাদের সম্পর্কের রসায়নটাও চেনা ‘দ্বান্দ্বিক তত্ত্বের’ মতোই। অর্থাৎ মিলমিশ প্রায় নেই বললেই চলে। সেই কারণেই তো খড়্গপুরে যখন কন্য়া সুরক্ষা যাত্রা করছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যার আয়োজক ছিলেন রাজনৈতিক মহলে ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত হিরণ। কিন্তু সেই যাত্রায় দেখা মেলে না দিলীপের। দেখা পাওয়া যায় দিলীপ ঘনিষ্ঠ খড়্গপুর বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতিরও। সূত্রের খবর, তারা নাকি ডাক পাননি।
এবার এই দ্বন্দ্ব, টানাপোড়েনের মাঝেই ইঙ্গিতে খড়্গপুরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা জাহির দিলীপের। ঠিক যেভাবে নিজের সংসদীয় রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন তিনি। দলে যখন ‘দূরত্ব’ বেড়েছে, সেই আবহেই যেন আবার ‘প্রথম পাতায়’ ফিরে যেতে চান দিলীপ। সূচনা করতে চান নতুন শুরুর। কিন্তু তাতে কি সিলমোহর দেবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? কী অবস্থান নেবেন হিরণ? প্রশ্ন থাকছে।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours