মৃতের বৌদি ভারতী শ্রিমানী বলেন, "আমরা ঘুমোচ্ছিলাম। হঠাৎ হুড়মুড় করে আওয়াজ হল। বাইরে বেরিয়ে দেখি, বাড়ির একদিকের অংশ ভেঙে পড়েছে। তখনও বুঝতে পারিনি, আমার দেওর নিচে চাপা পড়েছে। আমার দেওরপো চিৎকার করছে, বাবা তুমি কোথায়? লোকজন এসে ধ্বংসস্তূপ থেকে দেওরকে উদ্ধার করে।"
নিষেধ সত্ত্বেও জোর করে ঘুমিয়েছিলেন, গভীর রাতে হঠাৎ আওয়াজ..., মুহূ্র্তে সব শেষ
গভীর রাতে ভেঙে পড়ে বাড়িটির একাংশ
সবার নিষেধ সত্ত্বে জরাজীর্ণ বাড়িতে ঘুমিয়েছিলেন। গভীর রাতে সেই বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম দেবকুমার শ্রিমানী। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের।
পানিহাটি পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের এমএন চট্টোপাধ্যায় রোডে জরাজীর্ণ এই বাড়িতে দুটি পরিবার থাকে। বাড়িটি দেবকুমার ও তাঁর আরও দুই ভাইয়ের। দেবকুমারের বড় দাদা অন্য জায়গায় থাকেন। দেবকুমার ও তাঁর মেজদাদার পরিবার এই বাড়িতে থাকে। বাড়িটির অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিবেশী ও স্থানীয় কাউন্সিলরও এই দুই পরিবারকে বাড়িতে বসবাস না করার অনুরোধ বারবার করেছেন। তারপরও তারা কোনও কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ।
এটিও পড়ুন
Russian Girl: অ্যাকাউন্টে ২০০ টাকাও নেই! ছেলেকে নিয়ে কোথায় গেলেন চন্দননগরের রুশ-বধূ ভিক্টোরিয়া? সুপ্রিম কোর্টে বড় তথ্য জানাল কেন্দ্র
রোজ খাবার পরে মৌরি খান? কী হয় জানেন?
গতকাল রাত ২টো নাগাদ বাড়িটির একাংশ ভেঙে পড়ে। ভাঙাচোরা বাড়ির যে ঘরে দেবকুমার ঘুমিয়েছিলেন, সেটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। ইট, পাথরের নিচে চাপা পড়েন দেবকুমার। আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় খড়দহ থানায়। দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করে পুলিশ। দেবকুমারকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
মৃতের বৌদি ভারতী শ্রিমানী বলেন, “আমরা ঘুমোচ্ছিলাম। হঠাৎ হুড়মুড় করে আওয়াজ হল। বাইরে বেরিয়ে দেখি, বাড়ির একদিকের অংশ ভেঙে পড়েছে। তখনও বুঝতে পারিনি, আমার দেওর নিচে চাপা পড়েছে। আমার দেওরপো চিৎকার করছে, বাবা তুমি কোথায়? লোকজন এসে ধ্বংসস্তূপ থেকে দেওরকে উদ্ধার করে।” একাধিক প্রোমোটার বাড়িটি প্রোমোটিংয়ের জন্য চেয়েছিলেন বলে তিনি জানান। কিন্তু, ভাইয়ে ভাইয়ে মতপার্থক্য হওয়ায় বাড়িটি প্রোমোটারদের বিক্রি করেননি।
বাড়িটি বসবাসের যোগ্য ছিল না জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, “বাড়িটি খুব পুরনো। শুক্রবার সকালেই বাড়ির একটা অংশ ভেঙে পড়েছিল। ওই বাড়ির বাসিন্দারা নতুন ঘর খুঁজছিলেন। শুক্রবার রাত ২টো নাগাদ বাড়ির একটা অংশ ভেঙে পড়ে। তার নিচেই চাপা পড়েন দেবকুমার। আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে।”
ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ঝরনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা অনেকদিন ধরেই বলছি, বিপজ্জনক বাড়ি। ওখানে থাকবেন না। কিন্তু, কারও কথা শুনছিলেন না। গতকালও ওই ব্যক্তির বন্ধুরা নিষেধ করেছিলেন। কারণ, সকাল থেকেই একটা আওয়াজ হচ্ছিল। জোর করে ওই ঘরে ঘুমিয়েছিলেন তিনি।”


Post A Comment:
0 comments so far,add yours