বিবাহিত ওই যুবক অশোক গায়েন, তিনি কাকদ্বীপের বাসিন্দা। তবে এই কলেজের ছাত্র নন। পাত্রী এই কলেজের ছাত্রী। ওই যুবক অশোক গায়েন কলেজের ভেতর বিয়ের কথা অস্বীকার করেছেন। বাইরে বিয়ের পর কলেজ পড়ুয়া কয়েকজন বন্ধুর অনুরোধে এসেছিলেন।
এবার ইউনিয়ন রুমের মধ্যেই হল মালাবদল! অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে
ইউনিয়ন রুমেই বিয়ে!
পকসবাকাণ্ডের পর রাজ্যের একাধিক কলেজের ইউনিয়নের ভিতরে ছবি, বলা ভালো ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। কোথাও জুনিয়রদের যৌনাঙ্গ দেখাতে বাধ্য করার অভিযোগ, কোথাও আবার ইউনিয়ন রুমের মধ্যেই বসে মদ্যপানের অভিযোগ। একাধিক চিত্র সামনে এসেছে। তাতে বেড়েছে বিতর্ক। এবার কাকদ্বীপের সুন্দরবন মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের মধ্যে বসল বিয়ের আসর। হল মালাবদল। সামাজিক মাধ্যমে এমন ছবি ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
জানা যাচ্ছে, বিবাহিত ওই যুবক অশোক গায়েন, তিনি কাকদ্বীপের বাসিন্দা। তবে এই কলেজের ছাত্র নন। পাত্রী এই কলেজের ছাত্রী। ওই যুবক অশোক গায়েন কলেজের ভেতর বিয়ের কথা অস্বীকার করেছেন। বাইরে বিয়ের পর কলেজ পড়ুয়া কয়েকজন বন্ধুর অনুরোধে এসেছিলেন। কিছুক্ষণ থাকার পর নব দম্পতি বেরিয়ে যান বলে জানিয়েছেন অশোক। তিনি বলেন, “আমি ওই কলেজেরই ছাত্র নই। তবে ওই কলেজের ছাত্রীর সঙ্গেই দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। ওকেই বিয়ে করেছি। তবে বিয়ে করেছি বাইরে। তারপর কোনও নেতা-কর্মীর পদে নেই। বন্ধুরা বলেছিল, যেতে। তাই গিয়েছিলাম। ছবি তুলে ২ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে যাই।”
কলেজের অধ্যক্ষ শুভঙ্কর চক্রবর্তী এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “যেদিন ঘটনাটা ঘটেছে, আমি তখন কলেজে ছিলাম না। বিকাল পাঁচটার পর জানতে পারি। নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গে সঙ্গে বলি গিয়ে দেখতে। নিরাপত্তারক্ষী বলেছিলেন, কেউ রয়েছে, বিয়ে করে ঢুকেছে, হুল্লোড় করেছে। ওদের বেরিয়ে যেতে বলেছিলাম। সামনের গেট খুলতে বারণ করেছিলাম।”
ণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সৌম্যদ্বীপ গায়েন বলেন, “বিয়েটা বাড়িতেই হয়েছে। বিয়ের পর এসেছিল, দেখা করতেই এসেছিল, ছবি তোলে। এটা নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার হয়।”
এবিভিপি নেতা নিপুন দাস বলেন, “ইউনিয়ন রুমে গিয়ে বিয়ে… এটা কি মানা যায়? ওটা তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাইরে বিয়ে হয়েছে কিনা, সেটা বলা যাবে না। তবে দেখা যাচ্ছে, ইউনিয়ন রুমের সামনে মালাবদল হয়েছে।”


Post A Comment:
0 comments so far,add yours