কিন্তু সেই তালিকায় সম্ভবত ঠাঁই পাবেন না বিহারের ৭৩ লক্ষ ভোটার। কোথায় গেল তারা? নাম কি বাদ দিয়ে দিল কমিশন? বিরোধীদের উদ্বেগ প্রকাশ তবে কি সত্যি হল?
চলতি মাস থেকে হাজার বিতর্ক পেরিয়ে বিহারের ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় সমীক্ষায় নেমেছে নির্বাচন কমিশন। যার শেষ তারিখ ২৫ জুলাই। এরপর কয়েক দশক পর বিহারে ফের বিশেষ ও নিবিড় সমীক্ষার আওতায় প্রকাশিত হবে মোট ভোটারের সংখ্যা। কমিশন জানিয়েছে, ২৫ তারিখ ‘ডেডলাইন’ আর তা পেরিয়ে গেলেই পয়লা আগস্ট একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে।
কিন্তু সেই তালিকায় সম্ভবত ঠাঁই পাবেন না বিহারের ৭৩ লক্ষ ভোটার। কোথায় গেল তারা? নাম কি বাদ দিয়ে দিল কমিশন? বিরোধীদের উদ্বেগ প্রকাশ তবে কি সত্যি হল? উত্তরটা সময় দেবে। তবে এই ৭৩ লক্ষ ভোটারের নাম নিজে থেকে বাদ দিতে মরিয়া হয়নি কমিশন। বরং, এদের খোঁজ পাচ্ছে না তারা।
ইতিমধ্যেই বিহারের মূল ১২টি রাজনৈতিক দলকে ২৯ লক্ষ ভোটারের একটি তালিকা পাঠিয়েছে কমিশন। তারা জানিয়েছে, এই ২৯ লক্ষ ভোটার তাদের Enumeration Form, যার ভিত্তিতে পরিচয় যাচাইয়ের মাধ্যমে তাদের খসড়া তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তা এখনও জমা দেয়নি। এদিকে সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোনওই হেলদোল নেই প্রায় ২৯ লক্ষ ৬২ হাজার ভোটারের। তাই এই ভোটারদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলির জেলা সভাপতি ও কর্মীদের মাধ্যমে দেখা করার আর্জি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি, তারা এও বলেছে, এই কাজে দেড় লক্ষ বিএলএ বা বুথ লেভেল এজেন্টরাও তাদের সহায়তা করবে।
বাকি ৪৩ লক্ষ ৯৩ হাজার ভোটার? তারা কি দোষ করেছে? তাদের নাম কেন বাদ যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে? সেই নিয়ে মুখ খুলেছে কমিশন। তারা জানিয়েছে, এই ৪৩ ভোটারের প্রদত্ত বাড়ির ঠিকানায় গিয়েও তাদের হদিশ পায়নি বুথ লেভেল অফিসাররা। তারা যে আদৌ কোথায় রয়েছে, সেই নিয়েও কোনও তথ্য মেলেনি। ফলত, সময়ের মধ্যে এই ভোটারদের খোঁজ না মিললে বাধ্য হয়েই তাদের নামও বাদ দিতে হবে।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours