পাড়ায় পাড়ায় ক্যাম্প হবে। এক-একটা বুথের জন্য় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় করব। মোট ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এটা ২ অগস্ট থেকে চালু হবে।
২ অগস্ট থেকে নতুন প্রকল্প চালু করবে রাজ্য সরকার, আপনি কি পাবেন এই সুবিধা?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী
একুশে জুলাইয়ের পর এবার ফের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল বাংলা ও বাঙালির অস্মিতা রক্ষায় সরব হয়েছিলেন তিনি। এমনকী প্রয়োজনে ভাষা আন্দোলন করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এরপর আজ নবান্ন থেকে ফের বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি কী বলছেন একনজরে…
সর্বশেষ তথ্য উপরে
এটিও পড়ুন
'...একাধিকবার সুযোগ পেয়েছেন', ধনখড়ের ইস্তফায় মুখ খুললেন মোদী
Jagdeep Dhankhar: ধনখড় ইস্তফায় উত্তাল সংসদ, বিকাশরঞ্জন বললেন, 'RSS-র পরামর্শেই করেছেন'
কেন আধার-ভোটার-রেশনকে 'মান্যতা' দিতে নারাজ কমিশন?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আপনারা সাংবাদিকরা বলুন এটা ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার যে কোনও জায়গায় কাজের জন্য যেতে পারেন। এখানেও অন্য রাজ্যের মানুষ কাজ করেন। আমাদের তো কোনও সমস্যা হয় না! গুজরাতের মানুষকে যখন হাত- পা বেঁধে প্লেনে করে নিয়ে আসা হল—- তাদের আবেগে আঘাত আনা হয়নি? পহেলগাঁও আক্রমণে জঙ্গিদের কেন গ্রেফতার নয়? মণিপুরের গোলমাল সামলাতে পারলেন না সেই মুখ্যমন্ত্রী আপনাকে সম্মান করে বলছি আপনি উত্তরের দায়িত্ব পেলেন! আমি সব ভাষাকে ভালোবাসি। আমরা সবাই সবাইকে নিয়ে ভালবাসি। সেটাই ভারতের ঐতিহ্য। আমাদের অন্য ভাষা নিয়ে আপত্তি না থাকলে , আপনাদের কেন আপত্তি ? নিজেদের ঘর সামলান না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: সরকারি প্রোগামের বাইরে আলিপুরদুয়ারের তপসিলি জাতির ফালাকাটার বাসিন্দার কাছে গিয়েছে অসম সরকারের কাছ থেকে চিঠি গিয়েছে। বাংলার বাসিন্দার কাছে অসম সরকার কী করে মাথা ঢোকান? ডবল ইঞ্জিন সরকারকে বলব “নিজেদের চরকায় তেল দিন।” এ ভাবে যদি মনে করেন আপনারা এ ভাবে দেশ চালাবেন তাহলে দেশ ভাগ হয়ে যাবে। অহমীয়া ভাষায় লিখে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশি ভেবে আজ আরেকটি চিঠি এসেছে হরিয়ানার গুরগাঁও থেকে অনেকগুলো নাম দিয়ে জেলাশাসকদের বলা হয়েছে মালদহ, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর জেলা , দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বেছে বেছে মানুষদের সংকটে ফেলার চেষ্টা করছে। আমরা বলব ভয় পাবেন না। এ ভাবে ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ দিয়ে অন্য রাজ্যের মতো ভোটে জিতবেন না, সেটা হবে না। এটায় ৫২ জনের নাম আছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: এই টাস্ক ফোর্স মুখ্যসচিব জেলাস্তরে ঠিক করে দেবেন। ছোট ছোট সমস্যার কথা কেউ শুনছে এটা জানলে সাধারণ মানুষ খুশি হয়। তবে পুজোর সময় ১৫ দিন বন্ধ থাকবে। পরে সেটা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি দুয়ারে সরকারও চলবে। সরকারের কাছে সাধারণ মানুষকে পৌঁছাতে হবে না। সরকার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। কাজ শেষ হবে ১৮০ দিনের মধ্যে। আগে ঠিক ছিল দুটি করে বুথ নিয়ে করতে। পরে ঠিক হয় তিনটি করে বুথ নিয়ে হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: পাড়ায় হয়ত কল নেই, স্কুলের ছাদ থেকে জল পড়ছে, ছোট ছোট কাজের জন্য এই কর্মসূচি নেওয়া হল। এটা একটা ছোট্ট কর্মসূচি। নাম ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান।’ তিনটে করে বুথ নিয়ে একটা সেন্টার হবে। এটা করতে দুমাস সময় লাগবে। একটা জায়গা থাকবে, গ্রামের মানুষে এসে সমস্যা অফিসারদের জানাবেন। এটা কোনও বড় কর্মসচি নয় বললাম। স্বচ্ছতা বজায় রেখে, নিরপেক্ষতা বাজায় রাখতে হবে। আমাদের অফিসাররা আলোচনা করবেন। পাড়ায় পাড়ায় ক্যাম্প হবে। এক-একটা বুথের জন্য় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় করব। মোট ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এটা ২ অগস্ট থেকে চালু হবে। রাজ্যস্তরে টাস্ক ফোর্স হবে। যারা এটা মনিটারিং করবে। সরকারের কাছে কাউকে পৌঁছতে হবে, সরকার দুয়ারে পৌঁছে যাবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: দুয়ারে সরকারে ১০ কোটি মানুষ অনেক উপকৃত/ কাজ পেয়েচেন।এবারে আমি, সিএস এবং ডিজি মিলে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমাদের সরকারের কিছু কর্মসূচি খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে। রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে প্রশাসনিক কর্মসূচি। দুয়ারে সরকারে ১০ কোটি মানুষ অংশগ্রহণ করেন। ৯০ শতাংশ কাজ শেষ। বাকিগুলো ডিসেম্বর থেকে শুরু হল।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours