এই নিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা মন্তব্য ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। কেউ দক্ষিণভারতের শিল্পীদের তুলনা টানেন, কেউ আবার বিষয়টা সাধারণ বলেও উড়িয়ে দেন। যদিও বিষয়টা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নজর এড়ায়নি।
'বাংলাভাষাকে অসম্মান?' সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম ট্রোল্ড প্রসেনজিৎ, তারপর...
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত তিনি দীর্ঘ ৪০ বছর। এখনও দাপটের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন টলিপাড়ার ইন্ডাস্ট্রি। তাই প্রতিনিয়ত খবরের শিরোনামে থাকেন টলিপাড়ার ‘বুম্বাদা’। তবে সম্প্রতি খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিলেও তা সিনেমাকেন্দ্রিক নয়। বরং কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হল তাঁকে। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই অধিকাংশেরই চোখে পড়ছিল একটাই ক্লিপিং। যেখানে দেখা যাচ্ছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বাংলায় করা প্রশ্নকে গ্রহণ করলেন না। বাঙালি হয়ে, বাঙালি সাংবাদিককে কেন বাংলায় প্রশ্ন করতে মানা করলেন তিনি? রাতারাতি ওঠে প্রশ্ন।
ঠিক কী ঘটেছিল?
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি তাঁর এক হিন্দি ছবির প্রচারে মুম্বই গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁকে বাংলায় প্রশ্ন করা হলে– তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, “বাংলায় কথা বলার কী প্রয়োজন?” যদিও পাশে বসে থাকা উক্ত ছবির নায়ক রাজকুমার রাও সেই বাংলা প্রশ্নের হিন্দি তরজমা করে দেন। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড়। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের এহেন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন সকলেই। বাংলা সিনেমার অন্যতম নায়ক হয়ে বাংলাভাষাকে অসম্মান? এমনই মন্তব্য ভরে উঠছিল সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা। কেউ লিখলেন– ‘ভাবতে লজ্জা লাগছে’। আবার কেউ লিখলেন, ‘চরম অসম্মান’।
প্রসঙ্গত, এই নিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা মন্তব্য ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। কেউ দক্ষিণভারতের শিল্পীদের তুলনা টানেন, কেউ আবার বিষয়টা সাধারণ বলেও উড়িয়ে দেন। যদিও বিষয়টা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নজর এড়ায়নি। তিনি বেশ কিছুটা সময় এই প্রসঙ্গে মুখ বন্ধ রাখলেও, নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এর উত্তর দিলেন। দীর্ঘ এক খোলা চিঠিতে জানালেন তাঁর বক্তব্য।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours