পুল‌ওয়ামার প্রসঙ্গে বলতে গেলে বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রী অগ্নিমিত্রা পলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, "আপনি ফ্যাশন নিয়ে কথা বললে আমি শুনব, কিন্তু আমাকে রাজনীতি নিয়ে জ্ঞান দেবেন না। দু'দিনের রাজনীতি করছেন। আপনার কীর্তি কলাপ আমি সব জানি।"


পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করার সুযোগ ছিল', ভারতীয় সেনাকে কুর্নিশ জানিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী

 ভারতীয় সেনাকে কুর্নিশ জানিয়েও কেন্দ্রকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের বিদেশ নীতি নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করার সুযোগ ছিল। আমরা দখল করতে পারতাম। ভারত সরকার আরও স্ট্রং রোল প্লে করুক।”


পহেলগাঁওতে জঙ্গিহামলায় ভারতীয় পর্যটকের মৃত্যু আর তার পাল্টা ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রত্যাঘাতমূলক অভিযান- তার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় একটি প্রস্তাব আনে বিধানসভার সচিবালয়। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই প্রস্তাব আনা হয়। এই প্রস্তাবের দ্বিতীয় অধ্যায়ে বক্তব্য রাখতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পহেলগাঁও হত্যালীলার তীব্র নিন্দা করেন। আর প্রত্যাঘাত হিসাবে ভারতীয় সেনা যে পদক্ষেপ করেছেন, তা কৃতিত্ব স্বীকার করেন। পহেলগাঁওয়ের সহিস আদিল, যিনি পর্যটকদের রক্ষা করতে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন, তাঁকেও কুর্নিশ জানান মমতা।

পুল‌ওয়ামার প্রসঙ্গে বলতে গেলে বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রী অগ্নিমিত্রা পলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনি ফ্যাশন নিয়ে কথা বললে আমি শুনব, কিন্তু আমাকে রাজনীতি নিয়ে জ্ঞান দেবেন না। দু’দিনের রাজনীতি করছেন। আপনার কীর্তি কলাপ আমি সব জানি।”

এরপরেই বিজেপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হতে থাকে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা নিয়ে অধ্যক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিরোধী দলনেতা। এরপরেই তীব্র আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অপদার্থ বিজেপি দেশের সর্বনাশ। আপনি একজন বিরোধী দলনেতা দেশের পক্ষে লজ্জার।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “কয়েকদিনের জন্য হলেও একটা শিক্ষা পাকিস্তানকে দেওয়ার দরকার ছিল। সন্ত্রাসবাদ কোনও ধর্ম নয়, জাতি নয়।” ভারতে কুটনীতিতে কি কোথাও একটা ফাঁক থেকে যাচ্ছে? কীভাবে পাকিস্তান লোন পেয়ে গেল, এদিন তা নিয়েও বিধানসভায় প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হত্যালীলার পর ভারতের প্রত্যাঘাতে চরম চাপে পড়ে পাকিস্তান। পাকিস্তানের ঘরেও তখন চলে বিদ্রোহ, বালুচ লিবারেশন আর্মি সোচ্চার হয়ে ওঠে স্বাধীনতার দাবিতে। পাকিস্তানের কাজের তীব্র নিন্দা করে ভারতের পাশে থাকার বার্তাও দেয় আমেরিকা। কিন্তু তারপরও আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার ( আইএমএফ) থেকে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ পায় পাকিস্তান। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, তাহলে কি ভারতের কূটনৈতিক সিদ্ধান্তে কি কোনও ফাঁক থেকে যাচ্ছে? কেন পাকিস্তানকে এক্ষেত্রে চাপে রাখা গেল না? প্রশ্ন তোলেন মমতা। জঙ্গিরা কীভাবে সীমা পেরিয়ে ভারতে ঢুকতে পারল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। পহেলগাঁও হত্যামামলা যে সম্পূর্ণভাবে গোয়েন্দা ব্যর্থতা, সে অভিযোগ আবারও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours