তবে সজল ঘোষ ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর নন্দিতা রায়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছেন। তাঁর প্রশ্ন, “সিপিএম কাউন্সিলরের ওয়ার্ডেই এই বাড়ি তৈরি হয়ে গেল। অথচ তিনি কিছু করলেন না? ইন্ডিয়া জোটের জন্যই হয়তো সিপিএম চুপ করে বসে আছে।”


অনন্যা বলেই এত লাফালাফি’, হাতিবাড়ি বিতর্কে বিরোধীদের খোঁচা ফিরহাদের, সামনে এল সজলের বাড়ির ছবি
রাজনৈতিক মহলে জোরদার চাপানউতোর


কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতিবাড়ি বিতর্ক এবার কলকাতা পৌরসভার অধিবেশনেও। কেন ডেমোলেশন অর্ডার করেও কলকাতা পুরসভা অবৈধ অংশগুলিকে বৈধ করে দিল তা নিয়ে সরব হলেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। রীতিমতো প্রশ্ন তুলে বিব্রত করেন কলকাতা পুরসভা শাসক শিবিরকে। তাঁর দাবি, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩২ লক্ষ টাকা রিটেনশন অর্থ দিয়ে অবৈধ অংশকে বৈধ অংশে পরিণত করেছেন। তাঁর দাবির সপক্ষে একাধিক তথ্যও তুলে ধরেন। 

পাল্টা মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলতে উঠে সজল ঘোষের একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দেন। কবে থেকে এবং কিভাবে ওই বাড়িটি অবৈধ অংশকে বৈধ করা হয়েছে এবং সেটা কোন আইনের বলে করা হয়েছে তারও ব্যখ্যাও দেন। তবে মেয়র স্বীকার করেন, ওই বাড়িতে সিঁড়ি এবং লিফটের একাধিক অংশ বেআইনি ছিল। সেই বেআইনি অংশগুলি কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং আইনের বলে বৈধ করা হয়েছে। 

তবে ছেড়ে কথা বলেননি অন্যন্যাও। একহাত নেন সজলকে। অধিবেশন শেষে সজল ঘোষের বাড়ির ছবি সামনে এনে বলেন, “হুজুরি মল লেনের এই বাড়িটিও বেআইনিভাবে তৈরি হয়েছে। দুটি বাড়ির মধ্যে কোথাও কোন ফাঁক নেই। অথচ বাড়ি তৈরি করে নিয়েছে সজল ঘোষ।” এ নিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অনন্যাকে খোঁচা দেন সজল। বলেন, “এই বাড়ি ২০০ বছর আগেকার। অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় তাহলে ইংরেজদের ধরে নিয়ে আসুক।”

তবে সজল ঘোষ ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর নন্দিতা রায়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছেন। তাঁর প্রশ্ন, “সিপিএম কাউন্সিলরের ওয়ার্ডেই এই বাড়ি তৈরি হয়ে গেল। অথচ তিনি কিছু করলেন না? ইন্ডিয়া জোটের জন্যই হয়তো সিপিএম চুপ করে বসে আছে।” যদিও এ বিষয়ে সিপিএম কাউন্সিলর নন্দিতা রায় বলছেন, “এই ধরনের বেআইনি কাজ যে হচ্ছে তা নিয়ে আমি বরো অফিসে বারবার অভিযোগ করেছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। তৃণমূলের সঙ্গে আমাদের কোনও আঁতাত নেই।” বিতর্কের মধ্যে ফিরহাদ আবার পাল্টা বিরোধীদের উদ্দেশ্য়েই সুর চড়িয়েছেন। তাঁর দাবি, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসকদলের কাউন্সিলর বলে এত লাফালাফি হচ্ছে। পৌরসভার আইন মেনে যে কোনও নাগরিক সাধারণভাবে এটা করতে পারেন। 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours