ইসিএল-এর বেশ কয়েকটি গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ভয়ে অফিসের কর্মীরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে বারাবনি থানার পুলিশ ও সিআইএসএফ বাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


যখন-তখন বিস্ফোরণের শব্দে বুক কেঁপে ওঠে, এভাবে আর কতদিন! ক্ষোভে ফেটে পড়ল গ্রামবাসী

মাঝে মধ্যেই শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের শব্দ। কেঁপে উঠছে ঘরবাড়ি। রাতে ঘুমোতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। আসানসোলের বারাবনির চরণপুরে এটা প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা। বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। বুধবার তাই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বাসিন্দারা। আসলে ইসিএল-এর চরণপুর কয়লাখনিতে বারবার বিস্ফোরণের জেরে কেঁপে উঠছে বাড়ি, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকা। এই অভিযোগ তুলে আসানসোলের বারাবনির চরণপুর খোলামুখ কয়লাখনির অফিসে বুধবার চলে ব্যাপক ভাঙচুর।


অভিযোগ, উত্তেজিত জনতা অফিসে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। অফিসের কম্পিউটার বের করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এমনকী ইসিএল-এর বেশ কয়েকটি গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ভয়ে অফিসের কর্মীরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে বারাবনি থানার পুলিশ ও সিআইএসএফ বাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


তবে এই প্রথম নয়। এই বিস্ফোরণের জেরে বারে বারে ধস নামে বারাবনিতে। বারাবনির চরণপুরে কালীমন্দিরের কাছে সম্প্রতি ধস নামে। বারাবনি ব্লকের দোমহানি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চরণপুর হাটতলায় ধসের ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে। এই খনিটি বারাবনি এলাকায় হলেও উত্তর আসানসোলের ইসিএল-এর ভানোরা কোলিয়ারি সিকিউরিটি আর সিআইএসএফের আওতায়। খনিটি জামুরিয়া শ্রীপুর এলাকার অন্তর্গত। বিক্ষোভের জেরে খনি আধিকারিকরাও পালিয়ে যায়।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours