শুক্রবার বারুইপুর পকসো আদালত কুলতলির মামলায় সাজা ঘোষণার পর কুণাল বলেন, "কুলতলিতে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দৃষ্টান্ত তৈরি হল। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ২ মাসের মধ্যে শাস্তি দিতে হবে এবং ফাঁসি চাইব। তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হয়েছে। ৬১ দিনের মাথায় ফাঁসির সাজা হল।
আরজি করেও ফাঁসির সাজা হয়ে যেত, যদি না...', করজোড়ে কুণাল, জবাব দিলেন তিলোত্তমার বাবাও
কুলতলিতে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় সাজা ঘোষণা করেছে বারুইপুর পকসো আদালত। ঘটনার ৬১ দিনের মাথায় দোষীসাব্যস্ত মুস্তাকিন সর্দারকে ফাঁসির সাজা দিয়েছেন বিচারক। আর কুলতলির মামলায় সাজা ঘোষণার পরই আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিলোত্তমার বাবা-মাকে ‘করজোড়ে’ আবেদন করে বললেন, “আপনারা অন্যের কথায় বিভ্রান্ত না হলে মেয়ের খুনে দোষীসাব্যস্ত ফাঁসির সাজা এতদিনে দেখতে পেতেন।” কুণালের মন্তব্যের জবাব দিলেন তিলোত্তমার বাবা।
শুক্রবার বারুইপুর পকসো আদালত কুলতলির মামলায় সাজা ঘোষণার পর কুণাল বলেন, “কুলতলিতে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দৃষ্টান্ত তৈরি হল। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ২ মাসের মধ্যে শাস্তি দিতে হবে এবং ফাঁসি চাইব। তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হয়েছে। ৬১ দিনের মাথায় ফাঁসির সাজা হল। এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রাজ্যের পুলিশ ও আইনি বিভাগ তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে। যে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে, তার পরিবারকে ন্যায় বিচার দিতে পুলিশ তৎপর হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ দেখিয়ে দিল, ৬১ দিনের মাথায় ফাঁসির সাজা আদায় করে আনা যায়।” অপরাজিতা বিলের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “এইরকম অপরাধের ক্ষেত্রে দ্রুত শাস্তির জন্যই অপরাজিতা বিল এনেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু, তা এখন দিল্লিতে পড়ে রয়েছে।”
কুলতলির মামলার সাজার কথা উল্লেখ করে আরজি কর কাণ্ড টেনে আনেন কুণাল। বলেন, “আরজি করের ক্ষেত্রেও একদিনের মধ্যে অভিযুক্তকে ধরেছিল রাজ্য পুলিশ। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। কিনারা তো কলকাতা পুলিশই করে দিয়েছিল। সিবিআইয়ের হাতে কিছু আনুষ্ঠানিকতা ছিল, তাতেই এত দেরি করছে সিবিআই। বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে উঠতে পারল না। আজকে যদি কলকাতা পুলিশের হাতে মামলা থাকত, তাহলে হয়তো আরজি করের ঘটনায় ফাঁসির সাজা হয়ে যেত। কারণ, আরজি করের ঘটনার অনেক পর কুলতলির ঘটনা ঘটেছে। কুলতলির মামলায় সাজার পর এটা বলা যায়, আরজি করের ঘটনা কলকাতা পুলিশের হাতে থাকলে এতদিনে সাজা ঘোষণা হতে পারত। যাঁরা অতিনাটক করলেন, তাঁরা আসল তদন্তের ক্ষতি করলেন।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours