মেয়ে নিখোঁজ হতেই হলদিয়া থানার দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। তদন্তে নামে পুলিশ। নাবালিকার কাছে যে ফোন ছিল তার কল হিস্ট্রি ধরে শেষ পর্যন্ত দিল্লি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। তারপরই খোঁজ মেলে ওই পাচার চক্রের।
বিয়ের টোপেই বাংলা থেকে দিল্লি, অবশেষে ৭ বছর পর বড় খবর পেল হলদিয়ার নাবালিকার পরিবার
প্রতীকী ছবি
নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি। ফুঁসলিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে যৌনপল্লীতে বিক্রির অভিযোগ। সেই অপরাধেই কঠোর সাজা হল ৬ অপরাধীর। ঘটনা যদিও ২০১৭ সালের। দীর্ঘ সময় শুনানির পর এদিন সাজা ঘোষণা করল হলদিয়া আদালত। অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নাবালিকাকে হলদিয়া থেকে নিয়ে গিয়ে দিল্লির যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে চক্রের মূল পাণ্ডা সহ ৬ যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। বেশ কয়েক বছর শুনানি চলার পর শেষ পর্যন্ত হল সাজা ঘোষণা।
হলদিয়ার পকসো আদালত এই মামলায় মুখ্য আসামিকে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা ঘোষণা করেছে। সাজা দেওয়া হয়েছে বাকি ৫ জনকেও। সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে হলদিয়ার ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে প্রেমের জালে ফাঁসায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগরের বাসিন্দা এক যুবক। ২৫ অক্টোবর নাবালিকাকে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে পালায় অভিযুক্ত। হলদিয়া থেকে সোজা দিল্লী নিয়ে চলে যাওয়া হয়। সেখানে বিক্রি করে দেওয়া হয় যৌনপল্লীতে।
এদিকে মেয়ে নিখোঁজ হতেই হলদিয়া থানার দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। তদন্তে নামে পুলিশ। নাবালিকার কাছে যে ফোন ছিল তার কল হিস্ট্রি ধরে শেষ পর্যন্ত দিল্লি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। তারপরই খোঁজ মেলে ওই পাচার চক্রের। এক এক করে ধরে পড়ে ৬ যুবক। এর মধ্যে মূল অভিযুক্তের আজীবন সাজাবাসের সাজার পাশাপাশি একজনের ২০ বছর ও বাকিদের ১২ বছর কারাবাসের সাজা দেয় আদালত। একইসঙ্গে নাবালিকাকে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষে। তবে এখনও আরও দুই অভিযুক্ত অধরা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours