এই প্রথম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়টি উঠে আসতে চলেছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসক শিবিরের উপর ‘চাপ’ তৈরি করতে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ আলোচনায় তুলে আনা হবে।

ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আলোচনায় বসছে শাহের মন্ত্রকের কমিটি, যোগ দেবে তৃণমূল
আগামী ১১ নভেম্বর সংসদীয় কমিটির বৈঠক হবে

বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব বিরোধীরা। এবার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আলোচনায় বসছে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটি। আগামী ১১ নভেম্বর সংসদে কমিটির ওই বৈঠক হবে। যে কমিটিতে শাসক এবং বিরোধী মিলিয়ে মোট ৩১ জন সাংসদ রয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটিতে বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আলোচনা প্রাধান্য পেতে পারে বলে জল্পনা। ওই বৈঠকে শুধু বাংলা নিয়ে আলোচনা হলে তৃণমূল তীব্র প্রতিবাদ জানাবে বলে জানালেন সংসদীয় কমিটির সদস্য তৃণমূল সাংসদ মালা রায়।

বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রাধামোহন দাস আগরওয়াল এই কমিটির চেয়ারম্যান। বাকি ৩০ জন সাংসদের মধ্যে ১৩ জন বিজেপি বা এনডিএ জোটের শরিক দলগুলির। কমিটির সদস্য হিসেবে তৃণমূলের তরফে রয়েছেন কলকাতা দক্ষিণের সাংসদ মালা রায়, বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। এ রাজ্য থেকে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য ওই কমিটিতে রয়েছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, যে ১০টি বিষয় নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হওয়ার কথা, তার মধ্যে ৯ নম্বরে রয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়টি। ২০১৬ সালে দ্বিতীয় তৃণমূল সরকার গঠন হয়। তারপর থেকে লাগাতার রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এবং বামেরা নির্বাচন এবং নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে অভিযোগে সরব হয়েছে। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী হিংসা, ২০২১ সালের পুরসভা নির্বাচন এবং ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে শাসকদল তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। একের পর এক ঘটনায় কেন্দ্রের তরফে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা দেখতে প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours