আইপিএল 2024: প্রয়োজন ছিল এই জুটি ভাঙার। পরের ওভারেই আক্রমণে পাথিরানা। বড় শটের চেষ্টায় হাই ক্যাচ। শার্দূলের অনবদ্য ক্যাচে ১৫ বলে ৩৪ রানে ফেরেন নিকোলাস পুরান। ম্যাচে ফেরে চেন্নাই সুপার কিংসও। ১৭তম ওভারে মাত্র ৭ রান এবং পুরানের উইকেট। ১৮তম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান। ডট বলে শুরু করলেও স্টইনিস পরের বলেই বিশাল ছয় মারেন।

চেন্নাই দুর্গে মার্কাস হানা, মরসুমে প্রথম হোমে হার ধোনিদের


চেন্নাই দুর্গ অক্ষত রইল না। ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের সেঞ্চুরি, শিবম দুবের বিধ্বংসী ইনিংসের সৌজন্যে লখনউকে ২১১ রানের বিশাল টার্গেট দেয় চেন্নাই সুপার কিংস। কিন্তু মার্কাস হানায় ঘরের মাঠে এ মরসুমে প্রথম হার ধোনিদের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই কুইন্টনের উইকেট হারিয়ে চাপে ছিল লখনউ। তিন নম্বরে পাঠানো হয় মার্কাস স্টইনিসকে। অবিশ্বাস্য, হিসেবি একটা ইনিংস। চিপকের মাঠে কখনও এত রান তাড়া হয়নি। সেটাই করে দেখাল লখনউ। ৬৩ বলে ১২৪ রানের অপরাজিত ইনিংস মার্কাস স্টইনিসের।


শেষ পাঁচ ওভারে ৭৪ রানের টার্গেট। ক্রিজে সেট ব্যাটার মার্কাস স্টইনিসের সঙ্গে বিধ্বংসী নিকোলাস পুরান। ১৬তম ওভারে শার্দূল ঠাকুরকে বোলিংয়ে। এই সিদ্ধান্তই দামী হয়ে দাঁড়ায়। নিকোলাস পুরান এই ওভারকেই যেন টার্গেট করে রেখেছিলেন। প্রথম ৫ বলে ১৯ রান পুরানের ব্যাটেই। শেষ বলে সিঙ্গল স্টইনিসের। ২০ রানের ওভার চেন্নাইকে চাপে ফেলে। বাকি ৪ ওভারে ৫৪ রান কঠিন ছিল না। অন্তত ক্রিজে এই দুই ব্যাটার থাকলে তো নয়ই।

প্রয়োজন ছিল এই জুটি ভাঙার। পরের ওভারেই আক্রমণে পাথিরানা। বড় শটের চেষ্টায় হাই ক্যাচ। শার্দূলের অনবদ্য ক্যাচে ১৫ বলে ৩৪ রানে ফেরেন নিকোলাস পুরান। ম্যাচে ফেরে চেন্নাই সুপার কিংসও। ১৭তম ওভারে মাত্র ৭ রান এবং পুরানের উইকেট। ১৮তম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান। ডট বলে শুরু করলেও স্টইনিস পরের বলেই বিশাল ছয় মারেন। এই ওভারেই ৫৬ বলে কেরিয়ারের প্রথম আইপিএল সেঞ্চুরি মার্কাস স্টইনিসের। সার্বিক ভাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।


এ মরসুমে ইতিমধ্য়েই রাজস্থান-আরসিবি এবং কেকেআর-রাজস্থান ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি দেখা গিয়েছিল। সিএসকের হয়ে ঋতুরাজের পর স্টইনিসের সেঞ্চুরি। শেষ দু-ওভারে ৩২ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় লখনউ সুপার জায়ান্টসের। স্টইনিস ক্রিজে থাকা অবধি ভরসা ছিল লখনউ শিবিরে। ১৯ তম ওভারে পাথিরানা। বাউন্ডারিতে ওভার শুরু। তবে সবচেয়ে অস্বস্তির তৃতীয় ডেলিভারি। দীপক চাহারের মিস ফিল্ডে বাউন্ডারি হয়। ১৯তম ওভারে ১৫ রান ওঠে।

শেষ ওভারে ১৭ রানের টার্গেট লখনউয়ের। ছয় মেরে মুস্তাফিজুরকে স্বাগত জানান স্টইনিস। আর পিছন ফিরে তাকাননি। ৩ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জয়। চিপকের মাঠে রান তাড়ায় সবচেয়ে বড় স্কোরের রেকর্ড এখন স্টইনিসের দখলে। মিস ফিল্ডিংয়েরও খেসারত দিল চেন্নাই, বলাই যায়।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours