মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন করিডর দেশের পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যাবে। এখানে কিছু এলাকায় বাতাসের গতি বেশ দ্রুত। কখনও কখনও বায়ু এত শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে ট্রেন চালানোয় ঝুঁকি থাকে। ভায়াডাক্টে ট্রেন চালানো যায় না। ভায়াডাক্ট হল একটি সেতুর মতো কাঠামো, যা দুটি স্তম্ভকে সংযুক্ত করে।

বুলেট ট্রেনের জন্য কেন বসানো হচ্ছে এই যন্ত্র, কী কার্যকারিতা জানেন?
কী এই অ্যানিমোমিটার

মুম্বই থেকে আমেদাবাদের মধ্যে চলমান ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেনের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব টুইটারে এই প্রকল্প সম্পর্কে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছেন। টুইটে বলা হয়েছে, বুলেট ট্রেনের ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রুটে ১৪টি জায়গায় অ্যানিমোমিটার বসানো হবে। অ্যানিমোমিটার একটি যন্ত্র যা বাতাসের গতি পরিমাপ করে। এতে বুলেট ট্রেনের নিরাপত্তা বাড়বে বলে জানাচ্ছে রেল।


অ্যানিমোমিটার বসানোর কাজটি ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড-কে দেওয়া হয়েছে। NHSRCL জানিয়েছে যে ১৪টির মধ্যে ৫টি অ্যানিমোমিটার মহারাষ্ট্রে এবং ৯টি অ্যানিমোমিটার গুজরাটে ইনস্টল করা হবে।


কেন অ্যানিমোমিটার প্রয়োজন?

মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন করিডর দেশের পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যাবে। এখানে কিছু এলাকায় বাতাসের গতি বেশ দ্রুত। কখনও কখনও বায়ু এত শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে ট্রেন চালানোয় ঝুঁকি থাকে। ভায়াডাক্টে ট্রেন চালানো যায় না। ভায়াডাক্ট হল একটি সেতুর মতো কাঠামো, যা দুটি স্তম্ভকে সংযুক্ত করে। কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে বুলেট ট্রেন প্রকল্পে মোট ১৫৩ কিলোমিটার সেতুর কাজ শেষ হয়েছে।

অ্যানিমোমিটার কীভাবে কাজ করে?

অ্যানিমোমিটার হল এক ধরনের দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। ঘণ্টায় ০-২৫২ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত বাতাসের ‘রিয়েল-টাইম’ তথ্য সংগ্রহ করে এটি। এটির বিশেষ বিষয় হল এটি ০ থেকে ৩৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত প্রবল বাতাসকে পর্যবেক্ষণ করে। এই কারণে, প্রবল বাতাস এবং ঝড় মোকাবিলা করার জন্য ভায়াডাক্টে অ্যানিমোমিটার স্থাপন করা হবে।

বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭২ কিমি থেকে ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টার মধ্যে থাকলে ট্রেন সেই অনুযায়ী তার গতি সামঞ্জস্য করবে। অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার (ওসিসি) বিভিন্ন স্থানে লাগানো অ্যানিমোমিটারের মাধ্যমে বাতাসের গতিবেগ পর্যবেক্ষণ করবে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours