এ দিকে, মামলাটি সিবিআইয়ের অধীন থাকায় এ নিয়ে জেলা পুলিশ থেকে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৩ মার্চ রাত্রিবেলা গুলি বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর।
বড় ধাক্কা তপন কান্দু খুনের মামলায়, জেলেই মৃত্যু হল অন্যতম অভিযুক্তের
সত্যবান প্রামাণিকের মৃত্যু
পুরুলিয়া: ঝালদার প্রয়াত কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় মৃত্যু হল এক অভিযুক্তের। জেলে থাকা অবস্থাতেই সত্যবান প্রামাণিক নামে ওই বন্দির মৃত্যু হয়েছে। সূত্রের খবর , রবিবার সকালে সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দি থাকাকালীন অবস্থায় অসুস্থ বোধ করেন তিনি। এরপর তাঁকে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এ দিকে, মামলাটি সিবিআইয়ের অধীন থাকায় এ নিয়ে জেলা পুলিশ থেকে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৩ মার্চ রাত্রিবেলা গুলি বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। একটি মোটর বাইকে আসা তিনজন দুষ্কৃতীকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। মৃত্যু হয় কংগ্রেস নেতার। এই হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর ভাইপো দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয় আরও দু’জন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন এই সত্যবান। ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। মূলত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতেই গ্রেফতার হন সত্যবান।
ঘটনার তদন্তে নেমে সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পারেন এই ব্যক্তির একটি হোটেল রয়েছে। সেই হোটেলে বসেই খুনের ছক কষেছিলেন তিনি। এমনকী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দুর সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে দাবি গোয়েন্দাদের। তার প্রেক্ষিতেই গ্রেফতার হয় সত্যবান।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours