ছেলের চাকরির জন্য বছর দুয়েক আগে টাকা দিলেও চাকরি মেলেনি বলে অভিযোগ মহিলার। প্রায় এক বছর খোঁজ পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত ব্যক্তির। অনেক বার ফোন করেছেন, কিন্তু অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি বলে দাবি মহিলার।

মাঝবয়সী পুরুষকে স্টেশনে ফেলে চটি দিয়ে বেধড়ক পেটালেন বিজেপি মহিলা কর্মী! শাহি-সভায় যাওয়ার পথেই কেলেঙ্কারিকাণ্ড
বিজেপি কর্মীকে জুতোপেটা!

দুর্গাপুর: ডাকঘরে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ। দুর্গাপুর স্টেশনে অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে দেখা মাত্রই প্রকাশ্যে চটি পেটা এক মহিলার। উত্তেজিত মহিলার হাত থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন জিআরপি ও আরপিএফ কর্মীরা। এদিকে, অভিযুক্ত নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেন। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় দুর্গাপুর স্টেশনের চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে।

বুধবার সকালে স্টেশন চত্বরে ঠাসা ভিড়। তখনই প্ল্যাটফর্মের এক কোণায় উত্তেজনা ছড়ায়। চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে ছুটে যান অত্যুৎসাহী কয়েকজন। ততক্ষণে এক মহিলার পায়ের চটি খুলে মাঝবয়সী এক ব্যক্তিকে বেধড়ক জুতোপেটা করছেন। হটাৎই এই দৃশ্য দেখে ভিড় জমে যায়। প্রথমটায় যাত্রীরা ব্যাপারটা বুঝতেই পারছিলেন না। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ভাবছিলেন, হয়তো শ্লীলতহানি বা অন্য কিছু ঘটনা হয়ে থাকতে পারে। মহিলাকে প্রতিহত করারও চেষ্টা করেন অনেকে। কিন্তু তিনি মারাত্মকভাবে মারমুখী ছিলেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রেল পুলিশ। কিন্তু কেন প্রকাশ্যে এই মারধর? রেল পুলিশ পরে জানতে পারে, এই মহিলার নাম আলপনা সেন। যাঁকে মারা হচ্ছিল তাঁর নাম অবনী মণ্ডল। আলপনা রানিগঞ্জের ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি এলাকায় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। দুর্গাপুর স্টেশন থেকে বিশেষ ট্রেনে শাহি সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। মহিলার অভিযোগ, অভিযুক্ত তাঁকে ডাকঘরে চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার বদলে আলপনার কাছ থেকে ২লক্ষ টাকাও নিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।

ছেলের চাকরির জন্য বছর দুয়েক আগে টাকা দিলেও চাকরি মেলেনি বলে অভিযোগ মহিলার। প্রায় এক বছর খোঁজ পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত ব্যক্তির। অনেক বার ফোন করেছেন, কিন্তু অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি বলে দাবি মহিলার। ফোন দু একবার ধরলেও, অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁর নম্বর ব্লক লিস্টে ফেলে দেন। টাকা ফেরত পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন মহিলা।

বুধবার ধর্মতলায় দলীয় জনসভায় স্পেশাল ট্রেন ধরার জন্য রানিগঞ্জ থেকে দুর্গাপুর আসেন ওই মহিলা বিজেপি কর্মী। সঙ্গে ছিলেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। আচমকা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দেখতে পান আলপনা সেন। চুপচাপ তার সামনে পৌঁছে টাকা ফেরত চাইতে শুরু করেন, কিছুটা হকচকিয়ে যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি। এরপর পায়ের জুতো খুলে প্রকাশ্যে অভিযুক্তকে মারধর শুরু করে দেন মহিলা।

মহিলার হাত থেকে বাঁচতে বেসামাল হয় ওই ব্যক্তি পড়ি কী মরি করে ছুটতে শুরু করেন। রেল পুলিশ কোনও ক্রমে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় তাঁকে। নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেন অবনী মণ্ডল নামে অভিযুক্ত ব্যাক্তি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours