পর্ষদের অফিস থেকে বেরিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা জোর গলায় বলেন, 'আমাদের অ্যাপ্টিটিউট টেস্ট হয়েছে। না হলে ১০ নম্বরের ইন্টারভিউ-র প্রক্রিয়াটা সম্পূর্ণ হল কীভাবে?'

Primary Teachers: 'আমরা সন্তুষ্ট', পর্ষদ থেকে বেরিয়ে বললেন চাকরিহারারা, কী এমন আশ্বস্ত করলেন গৌতম পাল?পর্ষদ অফিসে হাজির চাকরি প্রার্থীরা
কলকাতা : প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে প্রায় ৩৩ হাজার টাকা বেতন পাচ্ছিলেন, সেরকম ৩৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শুক্রবার। হাইকোর্টের সেই রায়ের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। কিসের ভিত্তিতে চাকরি বাতিল করা হল? সেই প্রশ্ন তুলে পথে নেমেছেন অনেকেই। এমনকী অ্যাপ্টিটিউট টেস্ট না নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছিল, সেটাও খারিজ করে দিচ্ছে চাকরিহারাদের একটা বড় অংশ। শনিবার সকালেই সল্টলেকে এপিসি ভবনে অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে পৌঁছে গিয়েছেন অনেকেই। পর্ষদের চেয়ারম্য়ান গৌতম পালের সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁরা।


পর্ষদের অফিস থেকে বেরিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা জোর গলায় বলেন, ‘আমাদের অ্যাপ্টিটিউট টেস্ট হয়েছে। না হলে ১০ নম্বরের ইন্টারভিউ-র প্রক্রিয়াটা সম্পূর্ণ হল কীভাবে? আমাদের কল লেটারই সেই অ্যাপ্টিটিউট টেস্টের প্রমাণ।;

তাঁদের দাবি, ইন্টারভিউয়াররা কীভাবে পরীক্ষা নেবেন, তা তাঁদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারা আরও জানিয়েছেন, পর্ষদের তরফ থেকে এখনও কোনও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি, তাই চাকরি বাতিলের কথা মানতে নারাজ তাঁরা। তবে এদিন পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে কথা বলে সন্তুষ্ট হয়েছেন এই বিক্ষোভকারীরা। এক শিক্ষিকা বলেন, বোর্ড না বললে আমরা মানতে পারব না। তাঁদের দাবি, পর্ষদ শিক্ষকদের পাশে থাকবে বলেই আশ্বাস দিয়েছেন গৌতম পাল। চাকরিহারাদের জন্য যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেবে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours