যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কৃষ্ণ কুজুরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির কোনও যোগাযোগ নেই।



BJP-TMC: দণ্ডিকাণ্ডের পর ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই কি শক্তি প্রদর্শন? বালুরঘাটে বিজেপি-র পাল্টা যোগদান সভা তৃণমূলেরতৃণমূলের যোগদান সভা (নিজস্ব চিত্র)
বালুরঘাট: বিজেপির যোগদানের পাল্টা যোগদান সভার আয়োজন করল তৃণমূল। বুধবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের দাড়াল হাট এলাকায় তৃণমূলের যোগদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সালে তপন বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণ কুজুরের হাত ধরে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন যোগদান করে তৃণমূলে। মূলত সদ্য যোগদানকারীদের বেশির ভাগ বিজেপি ছেড়ে ও কিছুজন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করে। সদ্য যোগদানকারীদের হাতের দলীয় পতাকা তুলে দেন আদিবাসী তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি দেবু টুডু, জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্বরা৷ যোগদানকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই আদিবাসী সম্প্রদায়ের।

যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কৃষ্ণ কুজুরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির কোনও যোগাযোগ নেই। বিজেপির একাধিক প্রোগ্রাম হলেও তাকে কেউ দেখাতে পারবে না। অথচ একবছরের অনেক আগে থেকেই কৃষ্ণ কুজুরকে জেলার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে। সেই তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে বলে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের বাদ সনকইর এলাকায় প্রায় ২০০ জন মহিলা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। এই যোগদানের পরই তৃণমূলের দণ্ডিকাণ্ড ঘটে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে যায়। এই ঘটনায় তৃণমূল ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরেই এদিন দাড়ালহাটে পালটা তৃণমূল যোগদান শিবির করে। মূলত সেখানে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়। ২০১৬ সালের তপন বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণ কুজুরের হাত ধরেই প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন বিজেপি ও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করে।


যদিও সদ্য তৃণমূলের যোগদানকারী কৃষ্ণ কুজুর দাবি করেছেন, তিনি বর্তমানে আদিবাসী সেলের চাটি জেলার বিভাগ ইনচার্জের দায়িত্বে ছিলেন। বিজেপি বর্তমানে মানুষের ধর্ম নিয়ে বিভেদ ও রাজনীতি করছে। সেই জায়গা থাকে মমতা বন্দ্যাপাধ্যায় মানুষের জন্য কাজ করছেন। তাই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হলেন।

এ বিষয়ে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোনও মাস্টার স্টোক নয়। অনেক দিন থেকে কৃষ্ণ কুজুর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেই জায়গা থেকে রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে কৃষ্ণ কুজুরের নেতৃত্বে শতাধিক জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।”

অন্যদিকে এবিষয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, “২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণ কুজুর সত্যি বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। তবে তারপর থেকে বিজেপির সঙ্গে আর সেভাবে কোনও যোগাযোগ নেই তার। পাশাপাশি যে চারটি জেলার ইনচার্জের কথা তিনি বলছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। জেলায় তৃণমূলের কোনও অস্তিত্ব নেই। রাজ্যকে খুশি করতে এই নাটক করা হয়েছে।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours