কেকেআর শিবিরের সবচেয়ে 'আন্ডাররেটেড' ক্রিকেটারই হয়ে উঠলেন জয়ের নায়ক। রশিদ খানের হ্যাটট্রিকে ম্যাচের রাশ ছিল গুজরাট টাইটান্সের হাতে। শেষ ওভারে ম্যাচের রং এ ভাবে বদলে যাবে কেউই ভাবেননি।


দীপঙ্কর ঘোষাল : অবিশ্বাস্য বললেও কম হয়। এখান থেকে ম্য়াচ জেতা! কলকাতা নাইট রাইডার্স অপ্রত্য়াশিত কাজটাই করে দেখাল। চ্য়াম্পিয়নদের মুখের গ্রাস কেড়ে নিল শেষ পাঁচ বলে। কেকেআর শিবিরের সবচেয়ে ‘আন্ডাররেটেড’ ক্রিকেটারই হয়ে উঠলেন জয়ের নায়ক। রশিদ খানের হ্য়াটট্রিকে ম্য়াচের রাশ ছিল গুজরাট টাইটান্সের হাতে। শেষ ওভারে ম্য়াচের রং এ ভাবে বদলে যাবে কেউই ভাবেননি। শেষ ওভারে স্ট্রাইকে ছিলেন উমেশ যাদব। প্রথম বলেই সিঙ্গল নিয়ে স্ট্রাইক দেন রিঙ্কু সিংকে। পাঁচটি ছয় এবং একটি বাউন্ডারি প্রয়োজন তখনও। একটা বল বাউন্ডারির বাইরে। তখনও অবধি মনে করা হচ্ছিল, হারলেও অন্তত নেট রান রেট ঠিক রাখতে পারবে। কিন্তু রিঙ্কু যেন অন্য় লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিলেন। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।


এ বারের আইপিএলের সেরা ম্যাচ কোনটি! এখন আর এই জবাব খুঁজতে বেশি সময় ভাবতে হবে না। অন্তত রিঙ্কু সিংয়ের এই পারফরম্যান্সের পর তো নয়ই। গত কয়েক মরসুম ধরেই কলকাতা নাইট রাইডার্সে রয়েছে। প্রকৃত অর্থেই ‘পরিশ্রমী’ ক্রিকেটার। একটা সময় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যেত, একাদশে জায়গা হচ্ছে না রিঙ্কুর। তবে তিনি কিন্তু সারাক্ষণই ম্যাচের সঙ্গে যুক্ত। দিনের পর দিন শুধুমাত্র ফিল্ডিংয়ের জন্য মাঠে নামতেন। ফিল্ডার হিসেবে রিঙ্কুর দক্ষতা ঈর্ষণীয়। কেকেআরের সেরা ফিল্ডারও বলা যায় তাঁকে। হাই ক্য়াচ ধরার ক্ষেত্রেই হোক কিংবা গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে। তবে শেষ ওভারের এই বিধ্বংসী রূপ দেখিয়ে দিয়েছে, রিঙ্কু কতটা গুরুত্বুপূর্ণ।


আরসিবির বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে একটা সময় ১২ ওভারে ৮৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শার্দূল ঠাকুরের সঙ্গে ক্রিজ আঁকড়ে পড়েছিলেন রিঙ্কু। লর্ড শার্দূল একদিকে ঝড় তোলেন। রিঙ্কু অল্পের জন্য় অর্ধশতরান করতে পারেননি। কোনও আক্ষেপ নেই। এ দিনও ম্যাচ জেতানো ইনিংস। তাতেও বাড়তি উচ্ছ্বাস নেই। যেন, এটাই তো কাজ! ঘরোয়া ক্রিকেট হোক কিংবা আইপিএল, তারকা তকমা কোনও দিনই পাননি রিঙ্কু। কার্যকরী ইনিংসে বুঝিয়ে দিয়েছেন, নীরবে দায়িত্ব পালনই আসল। রিঙ্কু নির্লিপ্ত হলেও সতীর্থরা বুঝিয়ে দিলেন, তিনি কতটা স্পেশাল।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours