গুজরাট টাইটান্সের বোলিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে রাজস্থানের কাছে ১৭৮ রানের লক্ষ্যটাও বিশাল দেখাচ্ছিল। পাওয়ার প্লে-তে বোলিং করেন মহম্মদ সামি এবং হার্দিক পান্ডিয়া।

GT vs RR IPL Match Result : 'রিঙ্কু' হয়ে উঠলেন হেটমায়ার, নাটকীয় জয় রাজস্থান রয়্যালসের
Image Credit Source: IPL
দীপঙ্কর ঘোষাল : রিঙ্কু সিংয়ের মতো করে দেখাতে পারবেন সঞ্জু স্যামসন? একটা সময় এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করে। ঘরের মাঠে রাজস্থান রয়্য়ালসের বিরুদ্ধে নেমেছিল গুজরাট টাইটান্স। ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচটায় রিঙ্কুর কারনামা ভোলেননি টাইটান্স সমর্থকরা। কোথাও যেন অস্বস্তি ছিলই। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। গত মরসুমে গুজরাটের বিরুদ্ধে তিন বার মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান। সব কটিতেই হার। এই ম্য়াচের পর ‘স্কোর লাইন’ ৪-০ হবে নাকি ৩-১, আলোচনা চলছিল জোরকদমে। গুজরাট টাইটান্সের বোলিং লাইন আপ ৪-০’র সম্ভাবনাই তৈরি করে। কিন্তু সঞ্জু স্যামসনের বিধ্বংসী ইনিংস এবং শেষ দিকে হেটমায়ারের তাণ্ডব। রিঙ্কু সিংয়ের পর গুজরাট টাইটান্সের নতুন আতঙ্ক হয়ে উঠলেন হেটমায়ার। ৪ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে জয় রাজস্থান রয়্যালসের। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে গুজরাট টাইটান্স বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচ রিপোর্ট

প্রথমে ব্য়াট করে গুজরাট টাইটান্স। শুরুতেই অবশ্য অস্বস্তি। ইনিংসের তৃতীয় বলেই আউট ঋদ্ধিমান সাহা। ছন্দে থাকা সাই সুদর্শনও এই ম্য়াচে ছাপ ফেলতে পারলেন না। ১৯ বলে ২০ রানে ফেরেন। গুজরাট টাইটান্স সেই অর্থে বড় কোনও জুটি গড়তে পারেননি। শুভমনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট সাই। ওপেনার শুভমন গিলের ৩৪ বলে ৪৫ রান। শেষ দিকে ৩০ বলে ৪৬ রানের ইনিংস ডেভিড মিলারের। অভিনব মনোহর ১৩ বলে ২৭ রান করেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৭ রান করে গুজরাট টাইটান্স। টি-টোয়েন্টির প্রেক্ষিতেও বড় স্কোর নয়।


গুজরাট টাইটান্সের বোলিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে রাজস্থানের কাছে ১৭৮ রানের লক্ষ্য়টাও বিশাল দেখাচ্ছিল। পাওয়ার প্লে-তে বোলিং করেন মহম্মদ সামি এবং হার্দিক পান্ডিয়া। পাওয়ার প্লে-তেই সামি প্রথম স্পেলে টানা তিন ওভার বোলিং করেন। তিন ওভারে একটি মেডেন সহ মাত্র ৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। রাজস্থান শুরুতে হোঁচট খেলেও ইমপ্য়াক্ট প্লেয়ার দেবদত্ত পাডিকাল কাউন্টার অ্যাটাকে কিছুটা রান তোলার চেষ্টা করেন। তবে পাওয়ার প্লে-তে ২৬-২ স্কোর রাজস্থানকে ভরসা দেওয়ার মতো ছিল না। হার্দিক টানা ৪ ওভারের স্পেল করেন। পাওয়ার প্লে-তে তাঁর বোলিং পরিসংখ্য়ান ৩-০-১৬-১। ইনিংসের অষ্টম তথা নিজের শেষ ওভারে দেন ৮ রান। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ১ উইকেট। ক্য়াপ্টেনের প্রশংসনীয় বোলিং। রশিদ খান আক্রমণে এসেই ফেরান দেবদত্ত পাডিকালকে। ইনিংসের মাঝপথে রাজস্থানের স্কোর ছিল ৫৩-৩। সেখান থেকে ম্য়াচ ঘোরান সঞ্জু স্য়ামসন। মাত্র ৩২ বলে ৬০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। তিনি ফিরতেই দায়িত্ব দেন শিমরন হেটমায়ার। ম্য়াচ ফিনিশ করেই মাঠ ছাড়েন। ২৬ বলে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন হেটমায়ার।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours