ওই ছাত্রী যে স্কুলে পড়ে সেটি জুনিয়র হাইস্কুল। কেউ বলছেন পড়ুয়া সংখ্যা স্কুলে ৩৭ জনের মতো। কেউ বলছেন ৫০।
ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুলের মধ্যেই নৃশংসভাবে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল মালদহের গাজোলে। অভিযোগ, ওই নাবালিকাকে পাশবিক অত্যাচারের পর তা মোবাইল ফোনে ভিডিয়ো করে রাখে অভিযুক্ত তিন যুবক। তিন জনকেই ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে গাজোল থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন যুবক একই গ্রামের বাসিন্দা। তবে তারা বহিরাগত। শনিবারের এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এমন ঘটনার কথা শুনে শিউরে উঠছেন সকলে। মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। পুলিশ সূত্রে খবর, যে স্কুলে ওই ছাত্রী পড়াশোনা করে, সেখানে কোনও পাঁচিল নেই। শনিবার স্কুলের সামনে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল ওই নাবালিকা। অভিযোগ, সেই সময় বহিরাগত তিন যুবক স্কুলে ঢুকে পড়ে। ভুলিয়ে ভালিয়ে দোতলারই একটি ঘরে নিয়ে যায়। এরপরই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সঙ্গী অপর ছাত্রী ঘটনাস্থল থেকে কোনওক্রমে পালিয়ে যায়। দৌড়ে খবর দেয় নাবালিকার বাড়িতে। পরিবারের লোকজন স্কুলে পৌঁছনোর আগেই অবশ্য পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী যে স্কুলে পড়ে সেটি জুনিয়র হাইস্কুল। কেউ বলছেন পড়ুয়া সংখ্যা স্কুলে ৩৭ জনের মতো। কেউ বলছেন ৫০। অথচ সেই স্কুলে একজন মাত্র শিক্ষক। যদিও তাঁর সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা যায়নি। তবে এই স্কুলের পাশে রয়েছে একটি প্রাথমিক স্কুল। সূত্রের খবর, ঘটনার দিন স্কুলে আসেননি শিক্ষক। পাশের প্রাথমিক স্কুলে জানিয়েছিলেন, মিড ডে মিলের বিষয়টি দেখে নিতে।
ওই ছাত্রীর মায়ের কথায়, “স্কুলে গিয়ে দেখি মেয়ে কাঁদছে। তারপর জানতে চাইলাম কী হয়েছে, কিছু বলছিল না। পাশের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষককে বললাম। তখন উনি বললেন সোমবার দেখছি। আমি তিনজনের নামে অভিযোগ করেছি। বাইরের ছেলে ওরা। স্কুলে ঢুকে এরকম করেছে। যেদিন এই ঘটনা মাস্টার সেদিন স্কুলেই আসেননি। গিয়ে দেখি মেয়ে বারান্দায় বসে কাঁদছে।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours