কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, বাংলা ভাষার পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। এই কারণ দেখিয়ে ওই বাংলার শিক্ষিকা স্কুলে আসতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে।

স্কুল ইংরেজি মিডিয়াম। স্কুলে পড়ুয়াদের প্রথম ভাষা ইংরেজি। দ্বিতীয় ভাষা হয় হিন্দি কিংবা বাংলা। এমন অবস্থায় ওই ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের বাংলা ভাষার শিক্ষিকাকে স্কুলে চিঠি পাঠিয়ে স্কুলে আসতে বারণ করে দেওয়া হল। এমনই এক ঘটনা ঘটল বেলঘড়িয়ার আড়িয়াদহে এক বেসরকারি স্কুলে। আবার সেই চিঠিতেও রয়েছে ভুল। প্রথমে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল, যেখানে বলা হয়েছিল – বাংলা (ভাষা) প্রায় নেই বললেই চলে। পরে অবশ্য স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে ভুল সংশোধন করে আরও একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, বাংলা ভাষার পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। এই কারণ দেখিয়ে ওই বাংলার শিক্ষিকা স্কুলে আসতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে।


বাংলার শিক্ষিকাকে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, যে কয়েকজন বাংলার পড়ুয়া রয়েছে, তাদের বলে দেওয়া হয়েছে বাড়িতে পড়ে নেওয়ার জন্য। স্কুলের তরফে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়েছে, ‘গতবছর বাংলার পড়ুয়া ছিল ৫-৬ জন। এই বছর এখনও পর্যন্ত নেই, তবে ৩-৪ জন বাংলার পড়ুয়া হতে পারে বলে সম্ভাবনা রয়েছে।’ আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে সেই বাংলার পড়ুয়াদের কী হবে? তাঁদের পড়ানোর জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা কোথায়?


স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বসিয়ে বসিয়ে মাইনে দেওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই। সেই কারণেও ওই শিক্ষিকাকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও স্কুলের বক্তব্য, দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে বাংলাকে বেছে নিয়ে কোনও পড়ুয়া স্কুলে ভর্তি হলে সেক্ষেত্রে আবার বাংলা ভাষার শিক্ষিকা লাগবে। সেই নিয়ে ওই শিক্ষিকাকে মঙ্গলবার ডেকে আলোচনা করার কথাও যে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছিল, সেই কথাও জানাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও এই ঘটনার পর স্কুলের সেই বাংলার শিক্ষিকা সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাইছেন না। কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন তিনি। এদিকে প্রথম নোটিসে ওই ভুল থাকার বিষয়টি মেনে নিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours