বাস্তব মেনে নিয়ে স্মিথ বলছেন, 'এর পরের টেস্ট সফরে আমি ফের ভারতে আসব, বাস্তবে সেটা ভাবতে পারছি না। চার বছর অনেকটা সময়। দেখা যাক।'

এমন ফর্ম কেরিয়ারে কোনওদিন আসেনি স্টিভ স্মিথের। ভারত সফরে এ বার তিন টেস্টে (পাঁচ ইনিংস) তাঁর সর্বাধিক স্কোর ৩৭। এর আগে কখনও অন্তত তিন ম্যাচ কিংবা তার বেশি ম্য়াচের সিরিজে এমনটা হয়নি। কেরিয়ারে তিন ম্য়াচের সিরিজে অন্তত এক বার ৫০ ঊর্ধ্ব স্কোর গড়েছেন। এ বারের পরিস্থিতি ব্য়াটারদের জন্যই চ্য়ালেঞ্জিং। সিরিজে একটি মাত্র শতরান হয়েছে। নাগপুরে প্রথম ইনিংসে করেছিলেন রোহিত শর্মা। সিরিজে একবারই ৪০০-র উপর স্কোর হয়েছে। স্পিন সহায়ক পিচে ২০০-র গণ্ডি পেরোতেই হিমসিম খেয়েছে অজি শিবির। এই সিরিজে এখনও অবধি রাজত্ব করেছেন স্পিনাররাই। আমেদাবাদে পরিস্থিতি আলাদা হতেই পারে। অন্তত অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের উপলব্ধিও তেমনই। আর সম্ভবত এটিই ভারতের মাটিতে শেষ ম্যাচ স্টিভ স্মিথের। বিস্তারিত 


বিশ্বের সেরা চার ব্য়াটারের মধ্যে দু-জন খেলছেন বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে। বিরাট কোহলি এবং স্টিভ স্মিথ। সিরিজে দু-জনের ব্য়াটেই রানের খরা। স্পিনারদের দাপটই দেখা গিয়েছে। আমেদাবাদ টেস্টের আগে স্টিভ স্মিথ বলছেন, ‘এখানকার পিচ বাকিগুলোর তুলনায় একটু হলেও আলাদা। কিছুটা দেখেছি।’ কোন পিচে খেলা হবে, তা নিয়ে অবশ্য় ধন্দে ছিলেন স্টিভ স্মিথ। কিউরেটরদের দেখেছেন দুটো পিচ প্রস্তুত করতে। সে কারণেই ধন্দ ছিল। তবে ভারতীয় দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের পিচ পর্যবেক্ষণ দেখে এবং পরে আরও ভালো করে খোঁজ নিয়ে স্মিথ নিশ্চিত হয়েছেন কোন পিচে খেলা হবে। পিচ প্রসঙ্গে আরও বলছেন, ‘এখানে হয়তো শুরু থেকেই স্পিন হবে না। ম্য়াচ যত এগবে, স্পিনাররা সুবিধা পাবে, এটুকু বলা যায়। সুযোগ থাকবে বড় স্কোর গড়ার। এখনও অবধি যে কটা পিচে খেলেছি, এখানকার পিচ সম্ভবত প্রথম দিন ব্য়াটারদের সুবিধা থাকবে।’ আমেদাবাদের তাপমাত্রা অবশ্য চিন্তা বাড়াতে বাধ্য। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দ্রুত পিচ ভাঙতে বাধ্য়। হতে পারে প্রথম দিনই তৃতীয় সেশন থেকে টার্ন হতে শুরু করল!


ভারতের মাটিতে এরপর বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি ২০২৭ সালে। সে সময় স্টিভ স্মিথ টিমে থাকবেন, নিশ্চয়তা নেই। আমেদাবাদ টেস্টই যদি ভারতের মাটিতে ফেয়ারওয়েল হয়, সেক্ষেত্রেও অবশ্য দারুণ মঞ্চ প্রস্তুত। উপস্থিত থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রী মোদী এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবেন্সে। স্টিভ স্মিথ মনে করছেন, একটা ভিন্ন আবহে ম্য়াচ হবে। লক্ষাধিক দর্শকও থাকার সম্ভাবনা। এমন একটা ম্য়াচে বড় স্কোরেই নজর অজি অধিনায়কের। বলছেন, ‘এরকম পিচে একটা ৭০-৮০ রানের ইনিংসও ম্য়াচ জেতাতে পারে। তবে এখানকার পিচে আরও বেশি রানের প্রত্য়াশা করাই যায়। দলের গড় স্কোর এতদিন ২০০-২৫০ হলেও এখানে ৪৫০-৫০০ হতে পারে। পুরোপুরি নিশ্চিত নই। দেখা যাক, কী হয়।’ বাস্তব মেনে নিয়ে স্মিথ বলছেন, ‘এর পরের টেস্ট সফরে আমি ফের ভারতে আসব, বাস্তবে সেটা ভাবতে পারছি না। চার বছর অনেকটা সময়। দেখা যাক।’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours