তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দ্রুতগতিতে যাওয়ার জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

বন্ধুকে নিয়ে দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে যাচ্ছিলেন যুবক। ডোমজুড়ের নিবড়া সেতুতে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে সেই বাইক। ছিটকে পড়েন (Road Accident) বিশাল ধারা (১৯) নামে এক যুবক। কার্যত ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তাঁর দেহ। সূত্রের খবর, শরীরের ভিতরের অংশ ফেটে বাইরে বেরিয়ে আসে। হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিশালকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে দেহের একাধিক অংশের হাড় ভেঙে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বিশালের সঙ্গে থাকা তাঁর বন্ধু ২০ বছর বয়সী কার্তিক মল্লিক। হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। কীভাবে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল, তা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে ডোমজুড় থানার পুলিশ।



তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দ্রুতগতিতে যাওয়ার জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, সাঁতরাগাছি ১২ নম্বর রেলগেট এলাকার বাসিন্দা বিশাল ধারা ও কার্তিক মল্লিক। দুই বন্ধু সোমবার রাত থাকতে থাকতেই দক্ষিণেশ্বরে পুজো দেওয়ার জন্য রওনা দেন। বাইকটি কার্তিকের হলেও সেটি চালাচ্ছিলেন বিশাল। পিছনে বসেছিলেন কার্তিক।

পরিকল্পনা ছিল সকাল সকাল ভবতারিণীর মন্দিরে পৌঁছে পুজো দেবেন দুই বন্ধু। সেইমতো সাঁতরাগাছি ১২ নম্বর রেলগেট থেকে বেরিয়ে মুম্বই রোড হয়ে নিবড়া সেতু ধরেছিলেন তাঁরা। দ্রুতগতিতে বাইক চালাচ্ছিলেন বিশাল। রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ সলপের দিকে যাওয়ার সময় নিবড়া সেতুর একটি বাঁকের মুখে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকটি একটি ডিভাইডারে সজোরে গিয়ে ধাক্কা মারে।



দুই যুবক বাইক থেকে ছিটকে কয়েক ফুট দূরে পড়েন। এদিকে বিকট শব্দে গাড়িটি উল্টে যাওয়ায় থেমে যায় অন্যান্য গাড়ি। সেইসব গাড়ির চালকরাই কোনা ট্রাফিক গার্ড ও ডোমজুড় থানায় খবর দেন। কিন্তু চালকদের অভিযোগ, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতে প্রায় ঘণ্টাখানেক দেরী করে। পুলিশ গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় বিশাল ও কার্তিককে হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠায়।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিশালকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখন তাঁর শরীর থেকে হৃৎপিণ্ড কার্যত বাইরে বেরিয়ে এসেছিল। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। এদিকে কার্তিকের কাঁধের হাড় ভেঙে টুকরো হয়ে গিয়েছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours