অভিযুক্ত প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাও। অর্চনা নুনিয়ার বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় দায়ের হয় খুনের অভিযোগ। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে মৃতার পরিবারের তরফে।

সামান্য পাট কাঠি নিয়ে বিবাদ, যার জেরে প্রাণ গেল এক গৃহবধূর। প্রতিবেশী বিরুদ্ধে থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো মালদার (Malda) চাঁচল থানার মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুশমায় এলাকায়। মৃত ওই গৃহবধুর নাম বন্দনা নুনিয়া (২৪)। বাড়ি চাঁচল থানার মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুষমাই এলাকায়। প্রতিবেশী অর্চনা নুনিয়ার বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত গৃহবধূর পরিবার। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার দিন বিকালে। সূত্রের খবর, বন্দনা দেবীর তিন বছরের ছেলে বাড়ির পাশে পাট কাঠি নিয়ে খেলা করছিল। খেলার সময়েই মৃত বন্দনা দেবীর ছেলে তাঁদের বাড়ির পাশে অর্চনা নুনিয়ার বেড়ায় দেওয়া পাট কাঠি ভেঙে ফেলে। এরপরই অভিযুক্ত প্রতিবেশী অর্চনা দেবী বন্দনা নুনিয়ার উদ্দেশে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি ব্যাপক মারধরও করেন। শুধু মারধর করে ক্ষান্ত হাননি তিনি। ওই গৃহবধূকে টানতে টানতে বাড়ির ভিতরে এনে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। 

খানিক পরে বাড়ির বারান্দায় বন্দনা নুনিয়ার ঝুলন্ত দেখতে পান তাঁর শাশুড়ি। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে চাঁচোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিন দিন ধরে চলে তাঁর চিকিৎসা চলছি। তবে শেষরক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় বছর চব্বিশের ওই গৃহবধূর। মেয়ের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতার মা সহ বাপের আত্মীয়স্বজনেরা। অভিযুক্ত প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাও। অর্চনা নুনিয়ার বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় দায়ের হয় খুনের অভিযোগ। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে মৃতার পরিবারের তরফে। ঘটনার খবর পেয়ে চাচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যেই ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে চাঁচল থানার পুলিশ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours