লেইটিকে জিজ্ঞেস করা হয়, ব্রাজিল কি এবার বিশ্বকাপ জিতবে ? না ভেবেই তিনি বলেন, অবশ্য়ই তিনি আশা করছেন যে এ বার ব্রাজিল জিতবে। হতাশার সঙ্গে বলেন, ব্রাজিল ২০ বছর আগে শেষ বিশ্বকাপ জিতেছিল। লেইটি এ বার বিশ্বকাপ জয় দেখতে চান কাতারের গ্যালারিতে বসে। আর ড্রাম বাজিয়ে উদযাপন করতেন নেইমারদের সেই সাফল্য।





ফুটবল জগতে ব্রাজিলই সর্বেসর্বা। কাতারে কাতারে ব্রাজিল ফ্য়ান কাতারে এসেছেন। ওয়ালেস লেইটি ৬০ বছরের ব্রাজিল ভক্ত। ১৯৮৬ সাল থেকে ব্রাজিলের একটিও ম্য়াচ মিস করেননি তিনি। সাও পাওলোর এই বাসিন্দা ড্রাম হাতে ১০ বছর ধরে ব্রাজিলকে উৎসাহ দিয়ে আসছেন। আজও সেই উৎসাহে ভাটা পড়েনি। ড্রাম হাতে সবসময় উপস্থিত থাকছেন কাতারের নানা স্টেডিয়ামে।


এই ব্য়ক্তির পছন্দের বাদ্য়যন্ত্র হল সুরদাও। সুরদাও হল একটি ব্রাজিলিয়ান ড্রাম। ড্রামটির ওজন হল ৭কেজি। তিনি বলেন, সুরদাও তাল একসাথে রাখতে সাহায্য় করে। তিনি মনে করেন সুরদাওয়ের সাহায্য়ে স্টেডিয়ামে থাকা মানুষদেরকে একত্র করতে পারবেন। লেইটি বলেন, এখন তিনি বড় ড্রাম নিয়ে স্টেডিয়ামে আসেন। আগের ছোট ড্রামটির জোড়ালো আওয়াজ ছিল। এখন যে ড্রামটি আনেন, সেটির ওজন অনেক বেশি। ড্রামটির ওজোন ৭৯ কেজি এবং উচ্চতা ১৭৭সেমি। গোটা বিশ্বকাপ মরশুম জুড়ে ভারী ড্রাম বাজানোয় অনেক শক্তি ক্ষয় হয়। ড্রাম বাজিয়ে তিনি কাঁধ, হাতে ও ঘাড়ে চোটও পেয়েছেন। তবে এতে লেইটির কোনও কষ্ট হয় না। তিনি ড্রাম বাজাতে এত বিভোর থাকেন যে, সময়ের কোনও জ্ঞান থাকে না।

লেইটি গ্যালারিতে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাঁকে দেখলেই অন্য়ান্য় ভক্তরা তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলেন। অটোগ্রাফও নেন। তিনি জানান, আমি নিজেকে সেলিব্রেটি মনে করি না। তবে এত মানুষের ভালোবাসা আমাকে অন্যরকম একটা আনন্দ দেয়। একের পর এক বিশ্বকাপে এসে তিনি অনেক নতুন বন্ধুও পেয়েছেন। বিশ্বকাপের মাধ্য়মে তিনি অন্য দেশের সংস্কৃতির কাছাকাছিও আসতে পেরেছেন। লেইটির জীবনের প্রথম বিশ্বকাপ ছিল মেক্সিকোতে। তিনি বলেন, মেক্সিকান সমর্থক তাঁকে আপন করে নিয়েছিল। সে বার মেক্সিকোতে গিয়ে বাড়ির মতো আপ্যায়ন পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, সেখানকার মানুষজন খুব ভালো। লেইটির স্ত্রী কার্মেনও তাঁর সঙ্গে থাকেন গ্যালারিতে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours