মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে অন্যান্য দলকে আহ্বান জানাচ্ছি।"

অনেক বিপজ্জনক বিল আসতে চলেছে। বুধবার দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে শাসকদল অনেক বিপজ্জনক বিল আনতে চলেছে। কেন্দ্র জোর করে বিল পাশ করাতে চায়। অনেক বিলে রাজ্যের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করতে চাইছে।”

তবে কেন্দ্রের এই অভিপ্রায় সফল হবে না বলেও স্পষ্ট করে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কেন্দ্রীয় সরকার গণতন্ত্রের উপর আঘাত আনছে অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জোর করে এরকম করা যায় না। বলপূর্বক যাতে বিল পাশ করানো না হয়, সেটা আমরা দেখব। দৃঢ় ও শান্তভাবে আমরা এর প্রতিবাদ করব। আমাদের দল সংসদে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে। সবকিছু নিয়ে রাজ্যসভা ও লোকসভায় আমাদের সকল সাংসদের সঙ্গে কথা হয়েছে।”

এদিন দুপুরে সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়িতে রাজ্যসভা ও লোকসভার সমস্ত দলীয় সাংসদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিরোধীদের উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “বিরোধীদের কিছু বলার জায়গা দেওয়া হচ্ছে না। স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে বিরোধীদের সরিয়েছে। শুধু বিরোধীদের বুলডোজার করে দাও। সংবাদমাধ্যমকে বুলডোজার করে দাও। গণতন্ত্রের স্তম্ভের উপর দিয়ে বুলডোজার চালাও। এভাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।” এপ্রসঙ্গে মমতার বার্তা, “বুলডোজার চালানো তো অনেক সহজ। কিন্তু, আমরা দৃঢ় ও শান্তভাবে আমরা এর প্রতিবাদ করব।”

এদিন ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এককাট্টা হওয়ার বিষয়ে অন্যান্য বিরোধী দলকে আহ্বান জানান তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে অন্যান্য দলকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা যদি আমাদের সহযোগিতা করেন, তাহলে আমরাও আপনাদের সহযোগিতা করব।”

অন্যদিকে, কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছে বলে বহুবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁর দিল্লি সফরে থাকাকালীন সেই টাকা রাজ্যকে দেওয়ার কথা জানাল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং স্বয়ং ফোন করে এই সুখবর জানিয়েছেন। কিন্তু, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নন মুখ্যমন্ত্রী। আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, “টাকা আসতে দু-বছর লেগে গেল!” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “অর্থবর্ষের দু-মাস আগে যদি টাকা ঢোকে, তাহলে সেটি কাজে লাগানো যায় না। বছরের শেষে যেন ভিক্ষা দিচ্ছে। দেরিতে টাকা না দেওয়া ভাল। সময়ের মধ্যে টাকা না দিলে ডিপিআর, টেন্ডার করতে সময় লাগে। তখন আবার বলবে, টাকার ব্যবহার হয়নি।” এপ্রসঙ্গে হুঁশিয়ারির সুরে তৃণমূল সুপ্রিমোর কটাক্ষ, “সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করছে। কেবল মাটি আর আকাশকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours