বুধবার আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ছিল শিবচর্চার অনুষ্ঠান। সেখানেই আয়োজন করা হয়েছিল কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের। হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল সেখানে।

আসানসোলজুড়ে (Asansol) শোকের ছায়া। কান্নার রোল উঠেছে স্বজনহারানো পরিবারে। ‘আমরা বিচার চাই।’ মাকে হারিয়ে কাতর আর্তি আসনসোলে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ঝালি বাউড়ির ছেলে সুখেন বাউড়ির। প্রসঙ্গত, আসানসোলে কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় জোরদার তরজা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এদিন আসানসোলে শিবচর্চা নামক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

শুভেন্দু চলে যাওয়ার পর সেখানে কম্বল বিতরণ শুরু হলে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায় উপস্থিত জনতার মধ্যে। সেখানেই পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৭ জন। মৃত্যু হয় চাঁদমনি দেবী (৪৫), প্রীতি সিং (১২), ও ঝালি বাউড়ি (৬০) জনের। এদিন ঝালি বাউড়ির ছেলে সুখেন বাউড়ি বলেন, “মা টোকেন নিয়ে ওখানে গিয়েছিল। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও দেখি আমার মা বাড়ি ফেরেনি। তখন ওখানে খোঁজ নিতে যাই। তখন জানতে পারি মা মারা গিয়েছে। ওখানে কম্পল নিতে গিয়ে ঠেলাঠেলিতে পড়ে গিয়েই পদপিষ্ট হয়ে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।”  
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours