এদিন সন্ধে ৬টা ৫০ মিনিট নাগাদ দলের সদর কার্যালয়ে এসে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঞ্চের উপর উঠে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত উঁচিয়ে ভিক্টি চিহ্ন দেখান। 

গুজরাটে (Gujarat Assembly Elections 2022) একতরফাভাবে জয় এসেছে বিজেপির। আর তারপরই নয়াদিল্লিতে বিজেপির পার্টি অফিসে সাজো সাজো রব। গেরুয়া পতাকায় ছেয়ে গিয়েছে গোটা চত্বর। দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড়। এদিন সন্ধে ৬টা ৫০ মিনিট নাগাদ দলের সদর কার্যালয়ে এসে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মঞ্চের উপর উঠে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত উঁচিয়ে ভিক্টি চিহ্ন দেখান। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডাও।

যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোটা দেশের ও গুজরাটের মানুষের সেবা করেছেন, তাতেই এই ব্যাপক সাফল্য এসেছে। বিজেপির অফিসের সামনে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বললেন জেপি নড্ডা।
“গুজরাটে বিকাশের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন মোদী। গুজরাটের মানুষও সব রেকর্ড ভেঙে দেখিয়ে দিলেন। ৫২.৫ শতাংশ ভোট আমরা পেয়েছি গুজরাটে।” বললেন নড্ডা।
হিমাচল প্রদেশের কর্মীদের উদ্দেশ্যেও বার্তা দিলেন নড্ডা। বললেন, এটা ঠিক আমরা জিততে পারিনি। কিন্তু আমাদের ব্যবধান ০.৯ শতাংশ। হিমাচলের বিজেপি কর্মীদেরও এতদিন ধরে লড়াইয়ের জন্য অভিনন্দন জানান তাঁরা।
কটাক্ষ করলেন হিমাচলে আপের লড়াই নিয়েও। নড্ডা বললেন, “৬৭টি আসনে লড়তে এসেছিল আপ। আমি বলেছিলাম, একটিও পাবে না। সব জামানত জব্দ হয়েছে। ২৫টি আসনে নোটা থেকেও কম ভোট পেয়েছে আপ।”
“দিল্লির পুরনিগমেও আমরা খুব ভাল লড়াই করেছি। আমরা আদর্শ বিরোধীর ভূমিকা সেখানে পালন করব।” বললেন জে পি নড্ডা।
সন্ধে ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ মঞ্চে বক্তৃতা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুরুতেই দলের তরফে আমজনতার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, মঞ্চে উপস্থিত রাজনাথ সিং, অমিত শাহদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি। দলের সর্বস্তরের কর্মীরা যেভাবে কাজ চালিয়ে গিয়েছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান মোদী।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনকেও ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। বললেন, “একটিও পোলিং বুথেও রিপোলিং করার প্রয়োজন আসেনি। শান্তিপূর্ণ উপায়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে ভোটাররা গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হয়েছেন। এর জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ধন্যবাদ প্রাপ্য।”
নরেন্দ্র মোদী বলেন, “হিমাচলের নির্বাচনে ১ শতাংশেরও কম ব্যবধানে হার-জিতের ফয়সলা হয়েছে। এত কম ব্যবধানে আগে কখনও হার-জিত হয়নি। আগে ৫-৬-৭ শতাংশ ব্যবধান থাকত। কিন্তু এবার এক শতাংশেরও কম। অর্থাৎ, হিমাচলের মানুষ এবারও বিজেপিকে জয়ী করার চেষ্টা করেছে।”
হিমাচল প্রদেশের মানুষদের কাছেও তাঁর আশ্বাস, নির্বাচনে জয়ী না হলেও আগামী দিনে বিজেপি হিমাচলের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে। কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours