পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কয়লা সড়ক ছোট মসজিদ এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম মহম্মদ আসফাক আলম (৪৭)। তাঁকেই পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে।


পারিবারিক বিবাদের জেরে মারধরের অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় ব্যক্তিকে হাসপাতালে (hospital) ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বজবজ (budge budge) পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কয়লা সড়ক ছোট মসজিদ এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম মহম্মদ আসফাক আলম (৪৭)। তাঁকেই পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে।

মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, আশফাক আলমের ভাইজি শ্বশুরবাড়িতে অশান্তি করে বাপের বাড়িতে চলে আসেন। এরপর গত রবিবার রাত্রিবেলা আশফাক আলম তার ভাইঝির শ্বশুর বাড়িতে চলে যান বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য। অভিযোগ সেই সময়, ভাইঝির শ্বশুরবাড়ির লোকজন আসফাক আলামকে বেধড়ক মারধর করেন।

আশফাক আলমকে পরিবারের লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নীলরতন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এক সপ্তাহ ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তিনি। পরে অর্থাৎ আজ ভোরে তিনি মারা যান হাসপাতালেই। আশফাক আলাম এর পরিবারের লোকজন বজবজ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মারধরের ঘটনা অভিযুক্ত পরিবারের লোকজন স্বীকার করে। তাঁরা বলেন, রবিবার রাতে মারধর করা হয়েছে আশফাক আলমকে। পাল্টা তাদের অভিযোগ, আশফাক আলমের ভাইজি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে ছিল। তার কারণেই ঝামেলার সূত্রপাত। গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে বজবজ থানার পুলিশ।

মৃতের পরিবারের এক আত্মীয় বলেন, ‘আমি ভাসুরের মেয়ের বাড়িতে অশান্তি ছিল। মেয়েটা বাপের বাড়ি এসে থাকছিল। সেই কারণে আমার স্বামী ওর শ্বশুরবাড়ি যায়। ওদেরকে বোঝাতে। কিন্তু কোনও কথা না শুনেই ওরা মেরে ফেলল। ওকে খুব মেরেছ। নাক-চোখ-মুখ থেকে রক্ত বেরচ্ছিল ওর। তবুও মারতেই থাকল ওরা। এরপর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলাম। আজ সকালে মারা যায়।’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours