এবার এই ইস্যুতে সোমবার প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর সাফ দাবি, ডায়ালগে কাজ হবে না। প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।


রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে কুমন্তব্য করার জন্য ইতিমধ্যে বিপাকে পড়তে হয়েছে এ রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরিকে। তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই থানায় থানায় জমা পড়েছে অভিযোগ। একদিকে যখন দ্রৌপদী মুর্মুকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে ঠিক তখনই রাজ্যের বিরুদ্ধে দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ( Suvendu Adhikari ) সিঙ্গুর ( Singur ) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। বীরবাহা হাঁসদা ( Bir Baha Hansda )সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গতকাল এই প্রসঙ্গে মুখও খোলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর সাফ দাবি, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ক্ষমা চাইতে হবে। নাহলে বীরবাহা হাঁসদার জুতো পালিশ করাবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এবার এই ইস্যুতে সোমবার প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর সাফ দাবি, ডায়ালগে কাজ হবে না। প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।


প্রতিদিনের মতো প্রাতঃভ্রমণে বের হন বিজেপি নেতা। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘এসব ডায়লগ দিয়ে কিছু হবে না। যদি মনে হয় কোর্টে যান। কোর্ট বিচার করবে। দ্রৌপদী মন্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা চাইতে ১৫ দিন সময় নেন। আপনারা যে ভাবে সাংবিধানিক পদের অবমাননা করেছেন, তার জন্য ক্ষমা কে চাইবে? উনি নিজে কোনওদিন ক্ষমা চেয়েছেন? দ্রৌপদী কাণ্ডে গোটা বিশ্বের সমালোচনার মুখে পড়ে অবশেষে ক্ষমা চেয়েছেন।’

গতকাল কী বলেছিল কুণাল ঘোষ?

তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ‘অখিলবাবু যা বলেছেন, তা কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়। দল ভুল স্বীকার করেছে। ক্ষমা চেয়েছে। সর্বোপরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অখিলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ক্ষমা চেয়েছেন।’ এর পরেই শুভেন্দুকে নিশানা করে কুণাল বলেন, ‘কিন্তু বিরবাহা সম্পর্কে শুভেন্দু অধিকারী যে মন্তব্য করেছেন, তার জন্য উনি এখনও ক্ষমা চাননি। শুভেন্দুকে ক্ষমা চাইতে হবে, নয়তো ওঁকে দিয়ে বিরবাহার জুতো পালিশ করিয়ে ছাড়ব।’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours