রাজনৈতিক বিষয়ে বিজেপি এবং কংগ্রেস সহমত হচ্ছে, এমনটা সাধারণত দেখা যায় না। কিন্তু, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত আসামীদের বেকসুর খালাস দেওয়ার সুপ্রিম সিদ্ধান্ত নিয়ে একই অবস্থান নিল যুযুধান দুই রাজনৈতিক দল।


কোনও রাজনৈতিক বিষয়ে বিজেপি এবং কংগ্রেস সহমত হচ্ছে, এমনটা সাধারণত দেখা যায় না। কিন্তু, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত আসামীদের (Rajiv Gandhi assassination accused) বেকসুর খালাস দেওয়ার সুপ্রিম সিদ্ধান্ত নিয়ে একই অবস্থান নিল যুযুধান দুই রাজনৈতিক দল। এক মহিলা-সহ রাজীব গান্ধী হত্যায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত ছয়জন আসামীকে মুক্তি দেওয়ার পর ১০ দিন কেটে গিয়েছে। সোমবার (২১ নভেম্বর) কংগ্রেস জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আবেদন করবে তারা।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত শুক্রবার (১৮ নভেম্বর), কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও সুপ্রিম কোর্টকে এই রায় পুনর্বিবেচনা করার আবেদন করা হয়েছে। আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছে, পর্যাপ্ত শুনানি ছাড়াই আসামিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে স্বাভাবিক বিচারের নীতি লঙ্ঘিত হয়েছে। ফলে ন্যায়বিচার হয়নি।

এর আগে কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের বিরোধিতা করা হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর বাকি হত্যাকারীদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং ভুল।” এই বিষয়ে সনিয়া গান্ধী-প্রিয়াঙ্কা গান্ধীদের মতের বিরুদ্ধেও যেতেও পিছপা হয়নি কংগ্রেস।

সনিয়া গান্ধী-প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অতীতে এই হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করেছিলেন। অন্যতম অভিযুক্ত নলিনীর সন্তান হওয়ার পর, সনিয়া গান্ধী তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কেআর নারাণণের কাছে তার মত্যুদণ্ড বাতিলের আবেদন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই ঘটনায় আরও এক শিশুর জীবন নষ্ট হোক, তা তিনি চান না। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও পরে নলিনীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন।


১৯৯১ সালে তামিল নাড়ুর শ্রীপেরাম্বুদুরে এক নির্বাচনী প্রচার সভায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন রাজীব গান্ধী। মোট ৭ জন ব্যক্তিকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে প্রথমে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, পরে সাজা কমিয়ে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। গত মে মাসে অন্যতম অভিযুক্ত এজি পেরাইভালানকে বেকসুর খালাস দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ৩০ বছরের বেশি কারাবাস, জেলে ভাল আচরণ এবং কারাবন্দি অবস্থাতেই পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার কারণেই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours