এলাকাবাসীর দাবি, পুরকর্মীদের বারবার নর্দমা পরিষ্কার করার কথা বলা হলেও তা শোনা হয় না। বিরোধীরা বলছেন, মশার তেলের বদলে মেশানো হয় জল।

রাজ্যে ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু এক কিশোরীর। কয়েকদিন আগেই জ্বর আসে তাঁর। চিকিৎসাও করানো হয়েছিল বলে দাবি পরিবারের। শুক্রবার ডেঙ্গি পরীক্ষাও করানো হয়। সন্ধ্যায় রিপোর্ট আসার আগেই মৃত্যু হয় কিশোরীর। নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী ছিলেন হুগলির বৈদ্যবাটির বাসিন্দা। মৃতার নাম কায়ানাত পারভিন। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রতিবেশীরা। তাঁদের দাবি, পুরসভার তরফে এলাকা পরিষ্কার করার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয় না। পুর চেয়ারম্যান অবশ্য মৃতের পরিবারের গাফিলতির কথাই বলছেন।


জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা গত সোমবার থেকে জ্বরে ভুগছিল। শুক্রবার দুপুরে শ্রীরামপুর ওয়ালস্ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় তার। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, জ্বর হওয়ার পর চিকিৎসককে দেখিয়ে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল তাকে। ওষুধ খেয়ে ঠিক থাকছিল সে। শুক্রবার হঠাৎ শ্বাস নিতে কষ্ট শুরু হয় তার। এরপর আচমকাই অজ্ঞান হয়ে যায় সে। পরে হাসপাতালে ভর্তি করার পর মৃত্যু হয় কিশোরীর।

এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছেন পুরসভার বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি, নালা-নর্দমা পরিস্কার করা হয় না ঠিক মতো। মশা নিধনের ক্ষেত্রেও পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বাসিন্দাদের। গত বুধবার উত্তরপাড়ার এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। আর এবার বৈদ্যবাটিতে নাবালিকার মৃত্যু। এখনও পর্যন্ত নয় জনের মৃত্যু হল হুগলিতে। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়েছে জেলায়।

মৃতের প্রতিবেশীরা বলছেন, কাউন্সিলর শুধু ভোটের সময় কাজ করেন। অন্য সময় কোনও কাজই করেন না। পরিষ্কার করতে বললেও পুরকর্মীরা কথা শোনেন না বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


বিজেপি নেতা স্নেহাংশু মাহান্তোর দাবি, নামেই পরিষ্কার করে এলাকা। তাঁর অভিযোগ, চুনে ব্লিচিং মেশানো হয়, মশার তেলে মেশানো হয় জল। তাঁর দাবি, তৃণমূল দলটা কাটমানিক ওপর চলে। মশা তাড়ানোর কোনও উদ্যোগই নেই তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, বৈদ্যবাটী পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতো। তিনি বলেন, এলাকা পরিষ্কার করা হচ্ছে। কিন্তু মানুষ সচেতন নন। জ্বর হলে মানুষ লুকিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর দাবি, ওই নাবালিকার বাড়িতে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন পুরকর্মীরা, তাঁদের বলা হয়েছে, জ্বর সেরে গিয়েছে। তাঁর মতে, ঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে জ্বর সেরে যায়। একই সঙ্গে বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours