খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। 'চেতনা' নামে একটি নাটক চলছিল বলে জানা গিয়েছে।

নাটক শুরুর আগেই অগ্নিকাণ্ডকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়াল কলকাতার গিরিশ মঞ্চে (Girish Mancha)। বুধবার বিকেলে আগুন লাগার ঘটনায় দর্শকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। ঘটনার সময় দর্শকাসনে ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় (Justice Abhijit Ganguly) ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)। আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। হলের মধ্যে থাকা প্রত্যেককেই নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়েছে। তবে দুই বিচারপতির উপস্থিতি সত্ত্বেও এই আগুন লাগার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে উঠল প্রশ্ন।

জানা গিয়েছে, এদিন হাইকোর্ট থেকে বেরিয়ে দুই বিচারপতি বাগ বাজারে গিরিশ মঞ্চে নাটক দেখতে যান। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় ও বিচারপতি বসুর দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের কথা অনেকেরই জানা। এদিন তাঁরা দর্শকাসনে বসার কিছুক্ষণ পরই জানানো হয়, মঞ্চে আগুন লেগে গিয়েছে। মঞ্চের এসি-র ঘর থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। এরপরই দর্শকরা দ্রুত হল ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলে যায় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রাত ৮ টার কিছু আগে ফের নাটক শুরু হয়। বিচারপতিরাও ফের দর্শকাসনে ফিরে যান। তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, তবে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আরও বড় বিপদ ঘটতে পারত বলে মনে করা হচ্ছে।

হাইকোর্টের বিচারপতিরা সাধারণত কড়া নিরাপত্তার বলয়ে থাকেন। তাঁরা কোথাও গেলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগে থেকে খতিয়ে দেখা হয়। তাই তাঁদের উপস্থিতিতে মঞ্চে এমন অগ্নিকাণ্ড কীভাবে ঘটল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে এই দুই বিচারপতিকে নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় ও বিচারপতি বসুর এজলাসে। বিভিন্ন সময় নিয়োগে বেনিয়ম নিয়ে পর্ষদ বা কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। আবার কখনও তদন্তকারী সংস্থার গতিপ্রকৃতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতিরা। বুধবারই নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। কার নির্দেশে সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি হয়েছে, তা খুঁজে বের করতে বুধবার সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার দিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours