নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) আমলে ক’জন ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তার তালিকা তৈরির চেষ্টা করছে ইডি। খবর সূত্রের। ইডি সূত্রে খবর, মিডলম্যানদেরও সন্ধান চলছে। মানিক ঘনিষ্ঠ এমন বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিতও করা হয়েছে। এই মিডলম্যানদের সাহায্য নিয়েই কারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তার হদিশ পেতে চাইছে ইডি। পাশাপাশি, ইডি সূত্রে খবর, গতকাল জেরা চলাকালীন অসুস্থতার কথা জানান মানিক। জোকার ইএসআই হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষায় অবশ্য কোনও অসুস্থতা ধরা পড়েনি বলে ইডি-র দাবি। অসুস্থতার ভান করে জেরা এড়াতে চাইছেন মানিক,আদালতে এ কথা জানানো হবে বলে ইডি সূত্রে খবর।

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। গতকাল ED’র তরফে আদালতে দাবি করা হয়েছে, টাকার বিনিময়ে চাকরি-বিক্রির অন্যতম মূল মাথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। আদালতে ED’র আইনজীবী দাবি করেছেন, মানিক ভট্টাচার্যের আমলে, ২০১১’র পর ৫৮ হাজারেরও বেশি নিয়োগ হয়েছে। এই পরিসংখ্যান পেশ করে, এর মধ্যে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, সেটাই আদালতে তুলে ধরার চেষ্টা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। আদালতে ED’র তরফে দাবি করা হয়, ২২ জুলাই মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে যে সমস্ত নথি ও ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তাতে বিপুল পরিমাণ টাকা নয়ছয়ের প্রমাণ মিলেছে।

শুধু বেআইনিভাবে নিয়োগ নয়, টাকা নয়ছয়েও মানিক ভট্টাচার্যর সরাসরি যোগ রয়েছে। সব জেনেশুনেই মানিক ভট্টাচার্য দুর্নীতিতে মদত দিয়েছেন এবং নিজেও জড়িত ছিলেন। মানিক ভট্টাচার্যের নির্দেশ এবং নজরদারিতেই এই দুর্নীতি হয়েছে বলে আদালতে দাবি করল ED। ED’র চার্জশিটে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিকের প্রসঙ্গের উল্লেখ ছিল। এছাড়াও, তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের ফোন কল ডিটেলস ও মেসেজ। বিভিন্ন জেলার নিয়োগকর্তা-সহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে মানিক ভট্টাচার্যের কথা হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। এর পাশাপাশি, ED সূত্রে দাবি, বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। সেগুলি উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। সূত্রের দাবি, ED’র তরফে জানতে চাওয়া হয়, মানিক ভট্টাচার্য এবং তাঁর ছেলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকা কার? এই টাকার সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির কি সম্পর্ক আছে? বাইরের লোকেদের সঙ্গে কেন জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল? DD ও RK’র পরিচয় সম্পর্কেও ED’র তদন্তকারীরা এদিন জানতে চান বলে সূত্রের দাবি। 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours