পুজো কমিটিগুলিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কোনও মহার্ঘ ভাতা বাকি নেই। পুজোর অনুদান সংক্রান্ত মামলায় হলফনামা দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি দুর্গা পুজোর অনুদান নিয়ে যে মামলা হয়েছে, সেই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নেই বলেও দাবি করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের দাবি, ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা এবং পূজার অনুদান- দুটো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। দুটো বিষয়কে এক জায়গায় নিয়ে এসে মামলা করা যায় না।

গত বছর পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এ বছর সেটাই ১০ হাজার টাকা করে বাড়িয়ে ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এই ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাকারীদের প্রশ্ন ছিল, সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ দিতে পারছে না সরকার, অথচ পুজোয় মোটা টাকা অনুদান কেন? গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে এখনও পর্যন্ত বহু মানুষ খাবার জল, ওষুধ পান, স্বাস্থ্য পরিষেবা ঠিক ভাবে পান না বলেও উল্লেখ করেছিলেন মামলাকারীরা। সেই মামলায় এ দিন হলফনামা পেশ করেছে রাজ্য।

বকেয়া ডিএ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে আলাদা একটি মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের বেঞ্চ সেই মামলায় নির্দেশ দিয়েছিল, রাজ্যকে তিন মাসের মধ্যে ওই বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে। সেই সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও ডিএ মেটেনি রাজ্য সরকারি কর্মীদের। এরই মধ্যে অন্য একটি মামলায় রাজ্যের দাবি, ডিএ বাকি নেই।

ডিএ মামলার সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। সেই মামলা এখন বিচারাধীন। হলফনামায় রাজ্যের দাবি, কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্য উদাসীন এই বক্তব্য ঠিক নয়। এ ছাড়া, রাজ্য সরকার পূজা কমিটিগুলোকে বিদ্যুৎ বিলে ছাড় দিচ্ছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, হলফনামায় তা খারিজ করে দিয়েছে রাজ্য। রাজ্যের দাবি, অবিলম্বে বিপুল আর্থিক জরিমানা করে ওই সব মামলা খারিজ করে দেওয়া উচিত।

রাজ্যের আরও দাবি, জনগণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা যেতে পারে সংবিধান মেনে। দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে উৎসব যাতে মসৃণভাবে পরিচালনা করা যায়, সেই কারণেই এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।

এ দিন এজি প্রশ্ন তুলেছেন, বিজ্ঞপ্তি ছাড়া কী ভাবে এই মামলা হতে পারে? অনুমোদিত বাজেট থেকে টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours