দফায় দফায় রণক্ষেত্র সাঁতরাগাছি (santragachi)। রেললাইনের পাথর (stone) তুলে পুলিশের দিকে ছোড়ার (pelting) অভিযোগ। তবে শেষমেশ বিক্ষোভকারীরা জানালেন, তাঁরা আপাতত বিক্ষোভ (agitation) মুলতুবি (hold) রাখছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhikari) সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁদের। তার পরই এই সিদ্ধান্ত, দাবি বিজেপি কর্মীদের। সঙ্গে সংযোজন, 'আমাদের নৈতিক জয় (moral victory) হয়েছে। পুলিশ আমাদের সরাতে পারেনি।'
রণক্ষেত্র সাঁতরাগাছি...
কিছুক্ষণ আগে পর্যন্তও এখানকার ছবিটা একেবারে অন্যরকম ছিল। পুলিশের দিকে ধেয়ে আসছিল একের পর এক ইট। অভিযোগ, ব্যাগে ইটভর্তি করে নিয়ে আসেন বিজেপি কর্মীরা। পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে পুলিশও। লঙ্কাগুঁড়োর শেল ও হ্যান্ডশেলও ব্যবহার করা হয় বলে খবর। দুপক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সাঁতরাগাছি স্টেশন লাগোয়া এলাকা। কিন্তু তীব্র ইটবৃষ্টির মুখে একসময়ে পিছু হঠতে বাধ্য হন পুলিশকর্মীরা। কোনা এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনের ছবিটিও ছিল ভয়ঙ্কর। বিক্ষোভকারীদের মুখে একটাই কথা, 'শুভেন্দু অধিকারীকে যত ক্ষণ না ছাড়া আচ্ছে, তত ক্ষণ আমরা চালিয়ে যাব।' রাস্তায় ছড়িয়ে অজস্র পাথর, গার্ডরেল উলটে পড়ে। সর্বত্র বিক্ষোভের ছবি। একসময়ে গোটা এলাকাটাই বিজেপি কর্মীদের ভিড়ে ছেয়ে যায়। তবে তার পরই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, এলাকা ছেড়ে দেবেন। এক বিজেপি কর্মীর কথায়, 'আমরা চলে যাচ্ছি না, শুধু আজকের মতো বিষয়টি মুলতুবি করছি। পুলিশ আমাদের সরাতে পারেনি। আমাদের নৈতিক জয় হয়েছে।' কিন্তু সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কেন? বিক্ষোভকারীদের ব্যাখ্যা, 'এই পুলিশ প্রশাসনের জন্য আমাদের বহু মানুষ জখম হয়েছেন। আমাদেরই ক্ষতি হচ্ছে। তাই সাময়িক ভাবে মুলতুবি রাখছি।'
দিনভর সংঘর্ষ...
বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে এদিন হাওড়া ও মহানগরে দফায় দফায় উত্তেজনা তৈরি হয়। আজ সকালে অভিযান ঘিরে দফায় দফায় কার্যত রণক্ষেত্রের ছবি তৈরি হয়। নবান্ন অভিযান বেরিয়ে আটক হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। আটক হন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, দলের নেতা রাহুল সিনহাও। তাঁদের সকলকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন, তাই বিজেপি-কে আটকাচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলেন লকেট। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় সাঁতরাগাছিতেও। কর্মসূচি রুখতে মরিয়া ছিল পুলিশ। কর্মসূচির শুরুতেই বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে জলকামান ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, বাঁশ ছোড়ে বিজেপি সমর্থকরা। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করা হয়। লাঠি উঁচিয়ে তেড়েও যায় পুলিশ। একবার পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেলেও বেলার দিকে ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সাঁতরাগাছি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours