ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) মসনদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly), জয় শাহদের মেয়াদবৃদ্ধি করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা ও বোর্ডে আলাদা ৬ বছর করে মোট ১২ বছর একটানা কেউ পদাধিকারী থাকতে পারবেন। ২০১৪ সালে সিএবি (CAB) সচিব হিসাবে ক্রিকেট প্রশাসনে প্রবেশ করা সৌরভ ২০১৯ সালের অক্টোবরে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হন। আপাতত ২০২৫ সাল পর্যন্ত তাঁর বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসাবে থাকতে কোনও বাধা নেই। ২০২৫ সাল পর্যন্ত বোর্ড সচিব থাকতে পারবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-পুত্র জয় শাহও।

সুপ্রিম কোর্টে বোর্ড মামলার শুনানি হতেই বঙ্গ ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা সিএবি-তে নির্বাচনী তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রথা অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে সিএবি-তে বার্ষিক সাধারণ সভা হয়ে নতুন কমিটি বেছে নেওয়ার কথা। কিন্তু বোর্ড যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল, সেই মামলার শুনানির দিকে তাকিয়ে ছিল সিএবি-ও। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কোন নির্দেশিকা দেয়, তার অপেক্ষায় ছিলেন বাংলার ক্রিকেট প্রশাসকরা। বুধবারের রায়ের পর অবশ্য সিএবি-ও দ্রুত নির্বাচন সেরে ফেলতে চায়।

কী হতে চলেছে সিএবি-র ছবিটা?

পদাধিকারী হিসাবে অভিষেক ডালমিয়ার মেয়াদ শেষ হয়েছে। ২০১৫ সালে জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যুর পর অভিষেক সিএবি সচিব হন। ২০১৯ সালে সৌরভ বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অভিষেক সিএবি-র সর্বোচ্চ পদে বসেন। সুপ্রিম কোর্টের নতুন নির্দেশিকা মানলেও ২০২১ সালেই রাজ্য সংস্থায় টানা ৬ বছর শেষ হয়েছে অভিষেকের। তাঁকে সিএবি প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে হবে। তবে বোর্ডের পদাধিকারী হতে কোনও বাধা নেই অভিষেকের। বোর্ডের নির্বাচনে লড়লে তাঁর হাতে কিছু ভোট নিশ্চিত রয়েছে। কী করবেন অভিষেক? এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না। সূত্রের খবর, আরও কয়েকদিন দেখে এবং বোর্ড মহলরে হাওয়া বুঝে পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন। তবে সুপ্রশাসক হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া অভিষেক বোর্ডের সব মহলেই জনপ্রিয় এবং তিনি বোর্ডের কোনও বড় পদ পেতেই পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।


অভিষেক সরলে সিএবি প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে প্রাক্তন ক্রিকেটার স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় (Snehasish Ganguly)। যিনি ২০১৯ সাল থেকে সিএবি সচিব এবং ২০২৫ সাল পর্যন্ত তাঁর সিএবি প্রশাসনে থাকা নিশ্চিত। শোনা যাচ্ছে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সৌরভের দাদা সিএবি প্রেসিডেন্ট হতে পারেন।

তবে বাকি পদগুলিতে লড়াই হতে পারে। স্নেহাশিস সরলে নতুন সচিব বেছে নিতে হবে। শোনা যাচ্ছে, সচিব পদে লড়াই হতে পারে। সিএবি-তে এক সময় সৌরভের বিরোধী গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত ও অধুনা রাজ্যের শাসক দলের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে বা অতীতে সিএবি-র পদাধিকারী সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়রা ফের সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। তাঁরা সরাসরি না লড়লেও বিরোধী প্রার্থী দাঁড় করাতে পারেন। সিএবি-র বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট নরেশ ওঝা ও যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস পদে থেকে যেতে আগ্রহী বলে খবর। তাঁদের ভবিষ্যৎ এখনও চূড়ান্ত নয়। তবে কোষাধ্যক্ষ পদে দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে।

কবে হতে পারে সিএবি-র নির্বাচন?

আপাতত যা খবর, দুর্গাপুজোর আগে নয়। এমনিতেই লোঢা কমিটির সুপারিশ মেনে সিএবি-র সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের আগে একজন নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে। যিনি গোটা পদ্ধতি পরিচালনা করবেন। পাশাপাশি সদস্যদের ২১ দিন আগে নোটিস দিতে হবে। সেপ্টেম্বরে আর সময় নেই। তারপরই পুজোর ছুটি। তারপরই নির্বাচন করা হতে পারে সিএবি-তে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours