বাগুইআটি (Baguiati) জোড়া খুন কাণ্ডে শেষমেষ সিআইডি (CID) গ্রেফতার করে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে। হাওড়া (Howrah) এলাকা থেকে শুক্রবার সকাল ৯ টা নাগাদ তাকে গ্রেফতার (arrest) করা হয়। হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে ভিন রাজ্যে পালানোর চেষ্টা করছিল বলে পুলিস সূত্রে খবর। পুলিসের (police) অনুমান, সম্ভবত নিজের দেশের বাড়িতে গা ঢাকা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সত্যেন্দ্রর। কিন্তু তার আগেই তাকে গ্রেফতার করে বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। বারবার সিম বদলিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। আর্থিক সাহায্য চেয়ে নানা ঘনিষ্ঠদের ফোন করা শুরু করে সে। অবশেষে এদিন সকালে সাদা পোশাকের পুলিস হাওড়া স্টেশন থেকে ধরে সত্যেন্দ্রকে। তাঁকে নিয়ে আসা হয় বিধান নগর কমিশনারেটে। 

পুলিস সূত্রে খবর, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিআইডির অধিকারিকেরা। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মৃত দুই ছাত্রের পরিবার। মুখ্যমন্ত্রী থেকে রাজ্যে মন্ত্রীরা পুলিসের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। এরপর তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। তারপরেই এদিন বিধাননগরের গোয়েন্দা বিভাগ মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়।প্রসঙ্গত, বাগুইআটি জোড়া অপহরণ এবং খুনের ঘটনায় মঙ্গলবারই রিপোর্ট তলব করেছিলেন ডিজি। প্রাথমিক তদন্তে বাগুইআটি থানার গাফিলতির প্রমাণ মিলেছিল, পাশাপাশি আইসি বাগুইআটির গাফিলতিরও প্রমাণ মিলেছিল। ইতিমধ্যেই তদন্ত চলাকালীন আইসি বাগুইআটিকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘকালীন ছুটি বা ক্লোজ করা হতে পারে আইসি বাগুইহাটি কল্লোল ঘোষকে এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর।

এদিকে, সত্যেন্দ্র ধরা পড়তেই তাঁর ফাঁসির দাবিতে সরব নিহত দুই ছাত্রের পরিবার। কোনওভাবেই যাতে জামিন না পায় বাগুইআটি জোড়া খুন-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত। সংবাদ মাধ্যমে সেই দাবি করেন অতনুর বাবা। 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours