নিছকই অপহরণের (Kidnapping) চেষ্টা, না এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে? দুর্গাপুরের (Durgapur) মহিলা তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিস (police)। তবে ভরা সন্ধ্যায় তাও আবার হাই সিকিউরিটি জোন থেকে এক তরুণীকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনায় এখন শহর দুর্গাপুরের নিরাপত্তা এখন প্রশ্নের মুখে। বিশেষত মহিলাদের নিরাপত্তা।

প্রসঙ্গত, সোমবার ঘড়ির কাটাতে তখন সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা। দুর্গাপুরের প্রাণকেন্দ্র সিটিসেন্টারের (City Center) পলাশডিহাতে তথ্য প্রযুক্তি ভবন থেকে বেড়িয়ে ঘরে ফিরছিলেন দুর্গাপুরের মায়া বাজারের সুকান্তপল্লীর বাসিন্দা এক মহিলা তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। আচমকা একটি সাদা রঙের বোলেরো গাড়ি ওই মহিলা তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর সামনে এসে দাঁড়ায়। টানা-হিচড়া শুরু হয় মহিলার সঙ্গে, এরপর গাড়িতে তুলে নেওয়া হয় তাঁকে। গাড়িটি পলাশডিহার ওই তথ্য প্রযুক্তি ভবনের সামনে দিয়ে জাতীয় সড়কের ওপর ওঠে। স্থানীয় কিছু যুবক বাইক নিয়ে গাড়িটিকে ধাওয়া করলেও দুরন্ত গতিতে থাকা বোলেরো গাড়ি চলে যায় অন্যদিকে। এরই মধ্যে খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। শহরের সবদিকে পুলিসি পাহারা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। অবস্থা বেগতিক বুঝে বেনাচিতির কাছে জাতীয় সড়কের ধারে ওই তরুণীকে ফেলে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। এক ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার হয় তরুণী।

জানা গিয়েছে, অপহরণের চেষ্টার সময় তরুণী গুরুতর জখম হন। পুলিসই তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। বাম পায়ে আঘাত ভালরকম বলে জানা গিয়েছে। তাঁর বাবা অসুস্থ। তিনি দুর্গাপুরের অঙ্গদপুর রাতুড়িয়া শিল্পতালুকে এক বেসরকারি কারখানায় কাজ করতেন। কিন্তু কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর যার জন্য সংসার টানতে তথ্য প্রযুক্তি অফিসে কাজ করতেন তরুণী।

কিন্তু শহরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টারের বুকে যে দুষ্কৃতীরা ভরা সন্ধ্যায় এমনটাও করতে পারে সেটা ভেবে উঠতে পারছেন না তরুণীর পরিবার। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তি জয়প্রকাশ পাসওয়ান, মায়া বাজার সুকান্ত পল্লীর বাসিন্দা। কিন্তু এমনটা তিনি কেন করতে গেলেন? সেটা বুঝে উঠতে পারছে না গোটা পরিবার। পুলিস ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে গ্রেফতার করেছে, যিনি অপহরণের চেষ্টার সময় গাড়িতেই ছিলেন। মূল অভিযুক্ত জয়প্রকাশ এখনও পলাতক। গাড়িটি বিহারের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল বলে ঐ মহিলা কর্মীর পরিবার সূত্রের দাবি। পুলিস ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours