সমকামী অভিষেক-চৈতনের সম্পর্কে কলকাতায় সাড়া পড়লেও বিয়ে করে মার খেলেন শিউলি-শম্পা।
কিছুদিন আগেই কলকাতায় (Kolkata) সমকামী যুগল অভিষেক রায় এবং চৈতন শর্মার বিয়ে নিয়ে তুমুল উন্মাদনা দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। সাড়া পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়াতেও (Social Media)। পক্ষে বিপক্ষে উঠে এসেছিল নানা মতমত। তবুও বিয়ে শেষে হাসি ফুটেছিল দুজনের মুখেই। কিন্তু, কলকাতা এই সমকামী যুগলের পাশে দাঁড়ালেও মঙ্গলকোটের দুই সমকামী তরুণী ভালোবেসে বিয়ে করে পড়লেন বিপাকে। খেলেন মার। সূত্রের খবর, একজনের পরিবার মেনে নিলেও অন্যজনের পরিবারের সদস্যরাই তাঁদের বিয়েতে তুমুল আপত্তি জানিয়েছে। মারধরও করা হয়েছে দুজনকে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দুই তরুণীকে উদ্ধার করে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলকোটের মাথরুন গ্রামে।
মঙ্গলকোটের কাসেম নগর গ্রামে থাকেন শিউলি মাঝি। অন্যদিকে মঙ্গলকোটের মাথরুনে থাকেন শম্পা মাঝি। দুজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক। শিউলি নিজের গ্রামে গ্যাস ক্যারিয়ারের কাজ করেন। চার বছর আগে শিউলির দাদার সঙ্গে শম্পা মাঝির দিদির বিয়ে হয়। সেই থেকেই দুজনের পরিচয়। ধীরে ধীরে দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে ভালবাসার সম্পর্ক। সূত্রের খবর, আড়াই মাস আগে দুজন বাড়ির বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়েও করে। যদিও তারপর শিউলির বাড়ি থেকে তাঁদের সম্পর্কের কথা মেনে নিলেও শম্পার বাড়ির লোকজন তুমুল আপত্তি তোলেন বলে জানা যায়।
সূত্রের খবর, এরমধ্যেই শম্পার পরিবার মঙ্গলকোট থানায় শম্পার নামে নিখোঁজ ডায়েরী করে। তবে, বৃহস্পতিবার কন্যাশ্রীর ফর্ম ফিলাপ করতে কাসেম নগর থেকে মাথরুন উচ্চ বিদ্যালয়ে আসে দুই তরুণী। তখনই খবর পেয়ে সেখানে যান শম্পা মাঝির পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ মারধর করা হয় দুই তরুণীকে। এদিকে এ ঘটনার পর দুজনকে উদ্ধার করে পুলিশ। পাঠানো হয় কাটোয়া আদালতে। যদিও কাটোয়া আদালতের আইনজীবী সরোজ দাস বলেন, “সমকামী আইনে দুজনের সম্পর্ক বৈধ্য। দুজনেই স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে থাকতে পারেন।”
ঘটনা প্রসঙ্গে শম্পা মাঝি বলেন, “দীর্ঘদিন থেকেই আমাদের সম্পর্ক। আমার মা মাঝে একদিন জানতে পেরে ঝামেলা করে। থানায় কেস করে। যদিও ওর মা-বাবা আমাদের মেনে নেয়। ওদের কাছেই আড়াই মাস ধরে থাকছিলাম। কাল ফর্ম ফিলাপ করতে গেলে আমার মা-বাবা খবর পায়। তখন ওরা লোক ভাড়া করে আমাদের মারধর করে। পুলিশ না এলে আমাদের মেরেই ফেলত। তারপর কোর্টে গিয়ে মুক্তি মেলে।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours