জ্ঞান যখন ফেরে তখন ওই মহিলা দেখেন, তিনি অর্ধনগ্ন অবস্থায় শুয়ে রয়েছেন বিছানায়। তাঁর পাশে স্বঘোষিত গুরু এবং তাঁর স্ত্রী শুয়ে রয়েছেন।

স্বঘোষিত গুরুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুললেন এক মহিলা। ওই মহিলার অভিযোগ, ওই স্বঘোষিত গুরুর সাত বছর ধরে তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন। জীবনের সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে প্রথম বার ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার ভিডিয়ো দেখিয়ে তাঁকে যৌন নির্যাতন করেন ওই স্বঘোষিত গুরু এবং তাঁর স্ত্রী। সম্প্রতি ওই মহিলার বিয়ে ভেঙে যায়। তার পরই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গুরু এবং তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার এ বেঙ্গালুরুতে এ বিষয়ে অভিযোগটি দায়ের হয়েছে।

নির্যাতিতা মহিলা জানিয়েছেন, বছর সাতেক তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত ধর্মগুরুও। সেখানেই নির্যাতিতার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল অভিযুক্তের। সে সময় জীবনে কিছু সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন ওই মহিলা। সে কথা স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে সে সময় জানিয়েছিলেন তিনি। সে সময় সেই সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দেন ওই গুরু। সেই কথায় বিশ্বাস করেছিলেন ওই মহিলা। সেই মতো ধর্মগুরুর বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই ‘বিশেষ পুজো’র আয়োজন করার কথা বলেছিলেন অভিযুক্ত। ওই মহিলা জানিয়েছেন বিশেষ পুজোর জন্য অভিযুক্ত গুরুর বাড়িতে যাওয়ার পর তাঁকে সরবৎ খেতে দেওয়া হয়। তা খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান যখন ফেরে তখন ওই মহিলা দেখেন, তিনি অর্ধনগ্ন অবস্থায় শুয়ে রয়েছেন বিছানায়। তাঁর পাশে স্বঘোষিত গুরু এবং তাঁর স্ত্রী শুয়ে রয়েছেন। তাঁকে ধর্ষণ করার ভিডিয়ো ছবি মোবাইবে তুলে রেখেছিলেন অভিযুক্তরা। এর পর সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বছরের পর বছর গুরু ও তাঁর স্ত্রী যৌন নির্যাতন করেন নির্যাতিতাকে। এবং সেই সব ঘটনারও ভিডিয়ো করা হয় বলে অভিযোগ।

সম্প্রতি ওই মহিলার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্ত গুরু এবং তাঁর স্ত্রী নির্যাতিতার হবু বরকে সেই ঘটনার ভিডিয়ো দেখান। এর পরই ভেঙে যায় বিয়ে। তা হতেই নির্যাতিতা গোটা ঘটনার কথা জানান তাঁর মাকে। এর পরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা।




Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours