সূত্রের খবর, এই পণ্ডিতের নাম জড়িয়েছে পাচারকাণ্ডে। পণ্ডিতের আসল নাম রাধেশ্যাম সাউ। অভিযোগ, পাচারচক্রে তাঁর নাম নতুন নয়। আগে থেকেই নাম ভুরি-ভুরি অভিযোগ উঠেছে।

গরুপাচার নিয়েও মহা বিতর্ক। একের পর এক গ্রেফতারি। তবে আদৌ থেমেছে পাচার? উত্তর নাহ! এখনও পর্যন্ত থামেনি গরুপাচার। কখনও দুধের গাড়িতে, কখনও ডাক পার্সেলের গাড়িতে পাচার হয়ে যাচ্ছে গরু। তাহলে এনামুলের জায়গা নিল কে? বীরভূমে এখন কান পাতলে শোনা যাচ্ছে পণ্ডিতের নাম।

কে এই পণ্ডিত?

সূত্রের খবর, এই পণ্ডিতের নাম জড়িয়েছে পাচারকাণ্ডে। পণ্ডিতের আসল নাম রাধেশ্যাম সাউ। অভিযোগ, পাচারচক্রে তাঁর নাম নতুন নয়। আগে থেকেই নাম ভুরি-ভুরি অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ, এক সময় হুগলির পাণ্ডুয়ার কুখ্যাত গরুপাচারকারী ছিলেন পণ্ডিত। বর্তমানে বীরভূমের ইলামবাজারে বসেই তিনি নাকি এই গরু পাচারের সন্ডিকেটকে সক্রিয় করেছে। অভিযোগ, এই পণ্ডিতের ছত্রছায়ায় গরুপাচার শিখেছিলেন এনামুল হক।

স্থানীয় সূত্রে খবর, আবদুল লতিফের মতো পণ্ডিতের বাড়িও ইলামবাজার গরু হাটের কাছে। বর্তমানে লতিফের মতো বাড়িতে খোঁজ মিলছে না পণ্ডিতেরও। শুধু স্ত্রী রয়েছেন তাঁর। তবে কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ল। বললেন, ‘পণ্ডিত কাজের জন্য বাইরে রয়েছেন।তবে কোথায় আছেন বলতে পারব না।’ এর ঠিক কিছুক্ষণ পর ফের আবার জানালেন, ‘কাজের জন্য গিয়েছেন কলকাতায়। আসবেন এর মধ্যেই।’ এরপর গরু ব্যবসার কথা স্বীকার করে নিয়ে তিনি জানালেন, ‘আগে গরুর ব্যবসা করতেন তবে এখন আর করেন না।’

বস্তুত, ইলামবাজারে বোলপুর রোডের পাশেই রয়েছে বিশাল বড় এক মাঠ। সুখবাজারের মাঠ। এখানেই বসে ভারতের অন্যতম বড় পশুর হাট। হাট বসে প্রতি শনিবারে। সিবিআই সূত্রে খবর, ইলামবাজারের এই পশুহাট থেকেই এনামূলের লোকজন গরু কিনত। আর এনামূল হকের পাচার চক্রের জন্য এই হাট থেকে গরু কেনার দায়িত্বে ছিল আব্দুল লতিফ। এখন এই হাটের সঙ্গে নাম জড়িয়ে পণ্ডিতেরও।

জানা গিয়েছে, বীরভূমের সুখবাজারে লতিফের মতো প্রাসাদপ্রম বাড়ি রয়েছে পণ্ডিতের। তবে সেটি নির্মীয়মাণ অবস্থায় রয়েছে। আরও একটি বসত ভিটে আছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই পণ্ডিতের হাত ধরেই ফের সক্রিয় হচ্ছে গবাদি পশু পাচারের সিন্ডিকেট। সেখানেই কি নজর দেবে সিবিআই। প্রশ্ন উঠছে।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours