অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। 

নিজের দ্বিতীয় গড় পূর্ব বর্ধমানের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রর দায়িত্ব হাতছাড়া অনুব্রতর ( Anubrata Mondal ) । কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট ও আউসগ্রামের দায়িত্বে জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।

 তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড পার্থ

পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল ও সরকারের সমস্ত পদ থেকে সরানো হয়েছে। তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু, অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। 
পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর তা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , ' আমি চাই সত্যের বিচার হোক। কেউ দোষী প্রমাণিত হয়, তাতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেও I don't mind।' 

কিন্তু, অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর, তাঁর পাশে দাঁড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ' কেষ্টকে গ্রেফতার করলেন কেন? কেষ্ট কী করেছিল? কেষ্টরা ভয় পাবে না। একটা কেষ্টকে ধরলে, লক্ষ কেষ্ট রাস্তায় তৈরি হবে। ' 


এরপর অনুব্রতও বুকে বল পান। তিনি নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে এই বুধবারও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করেছেন , যথেষ্ট করেছেন। কিন্তু শেষমেষ পার্টি পদক্ষেপ করলই।

ক্ষমতা খর্ব কেষ্টর
নিজের দ্বিতীয় গড়ের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র হাতছাড়া হল অনুব্রতর । পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট ও আউসগ্রাম হাতছাড়া হল অনুব্রত মণ্ডলের । এবার থেকে তিনটি বিধানসভার দায়িত্বে থাকবেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা তৃণমূল সভাপতি । দেখভালের দায়িত্ব পেলেন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, জানিয়েছেন রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র দেবু টুডু । এর আগে গরুপাচার মামলায় জেলে যেতেই, বীরভূমে পোস্টার থেকে বাদ পড়েন অনুব্রত মণ্ডল। কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে তারাপীঠের রাস্তায় পড়েছে একাধিক পোস্টার। বিগত বছরে সেখানে জ্বলজ্বল করত অনুব্রতর ছবি। এবার তা উধাও। এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।

বর্তমানে আসানসোন সংশোধনাগারে ১৪ দিলেন জেল হেফাজতে আছেন অনুব্রত। এই পরিপ্রেক্ষিতে পার্টির এই পদক্ষেপ জেলার রাজনীতির ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

গরু পাচারকাণ্ডের পর এখন নানা জন অভিযোগ করছেন, বীরভূমের কেষ্টর নেকনজরে পড়তে হলে টাকা ছড়াতে হত কিংবা গাড়ির ভেট দিতে হত! এমনকি তৃণমূলেরই প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি দাবি করছেন, তাঁকে টাকা তোলার জন্য চাপ দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল! কথা না শোনায় তাঁকে ও তাঁর ছেলেকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দুর্নীতি ঘিরে অতীতে অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্যও এখন সামনে উঠে আসছে। বুধবার প্রথম রাত আসানসোল জেল হাসাপাতালে কাটানোর পর বৃহস্পতিবারই অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়!
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours